Quantcast
Channel: খেলাধুলা – CNANews24.Com
Viewing all 924 articles
Browse latest View live

দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডেতে সম্ভাবনা দেখছেন সাকিব

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক : সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তবে তার অনুপস্থিতি দলে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করেন সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের জন্য কঠিন হলেও ওয়ানডেতে ভালো সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো করবে বলেই বিশ্বাস সাকিবের, ‘আমার থাকা না-থাকায় খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। কারণ দুনিয়াতে কোনো জিনিসই কারও জন্য অপেক্ষা করে না। আমি আশা করি এবং মন থেকে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ অনেক ভালো করবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ধারাটা অব্যাহত থাকবে। যে যাবে, সে ভালো করবে। দক্ষিণ আফ্রিকা সবার জন্য চ্যালেঞ্জিং। সবার ভেতর বাড়তি চেষ্টাও থাকবে ভালো করার।’

২০০২ ও ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় চারটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। চারটিতেই বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকায় ছয়টি ওয়ানডের পাঁচটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ, একটি পরিত্যক্ত। ২০১৫ সালে দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজটা চ্যালেঞ্জিং হলেও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা দেখছেন সাকিব।

সিরিজ নিয়ে সাকিবের ভবিষৎবাণী, ‘ফল বলা কঠিন। ভবিষৎবাণী করাও কঠিন ব্যাপার। টেস্ট সিরিজ অবশ্যই কঠিন হবে। ওয়ানডেতে আমাদের খুব ভালো সম্ভাবনা আছে। টি-টোয়েন্টি বলাটা কঠিন। কারণ ওরকম কন্ডিশনে আমরা ৬-৭ বছরের বেশি সময় খেলিনি। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। ওয়ানডের তুলনায় টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট বেশি কঠিন হবে।’

এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পচেফ্স্ট্রুমে টেস্ট দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। টেস্ট থেকে ছয় মাসের ছুটি চাওয়া সাকিবকে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজে বিশ্রাম দিয়েছে বিসিবি। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার ওয়ানডে সিরিজের আগে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।


পাকিস্তানে আসতে রাজি ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

$
0
0

স্পোর্টস ডেস্ক :বিশ্ব একাদশের পর এবার পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ খেলতে রাজি হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। চলতি বছরের শেষেই, নভেম্বরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে আসবে বলে নিশ্চিত করেছে এই ফরম্যাটে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

বুধবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজম শেঠি মিডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘পাকিস্তানের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজ খেলতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দুই বোর্ডের মধ্যে কথাবার্তাও একপ্রকার পাকা হয়ে গিয়েছে। দ্রুতই ম্যাচের সূচি ঘোষণা করা হবে।’ তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। 

নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি সিরেজের পাশাপাশি অক্টোবরে পাকিস্তানে খেলতে আসছে শ্রীলঙ্কাও। ২৯ অক্টোবর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি টি-টোয়োন্টি ম্যাচ খেলবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ-লাসিথ মালিঙ্গারা। পিসিবি চেয়ারম্যান শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে আরও একটি ম্যাচ আয়োজনের আশা করছেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে যখন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তখন নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পাকিস্তানে আসবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর লাহোরে পিএসএলের ফাইনাল এবং চলতি সেপ্টেম্বরে আইসিসি’র বিশ্ব একাদশ পাকিস্তানে খেলতে আসার পরই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট বোর্ডও সফরে আসাতে রাজি হয়েছে।

২০০৯ সালের ৩ মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কান টিম বাসে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তান থেকে নির্বাসিত হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এরপর নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তানে খেলেনি কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশ। তবে ২০১৫ সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলতে পাকিস্তানে পা রেখেছিল জিম্বাবুয়ে। যদিও ওই সিরিজে কোনো অফিসিয়াল পাঠায়নি ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি।

লাহোরে পিএসএলের ফাইনাল নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পাকিস্তানে ক্রিকেটে ফেরাতে আগ্রহ দেখায় আইসিসিও। পাক সরকার ক্রিকেটারদের জন্য প্রেসিডেন্সিয়াল নিরাপত্তার আশ্বাস দেয়ার কারণে ওয়ার্ল্ড সিরিজের সবুজ সংকেত দেয় বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। সেই মতে তিন ম্যাচের ইন্ডিপেনডেন্স কাপ খেলতে লাহোর এসে পৌঁছায় বিশ্ব একাদশ।

ঘরের মাঠে মঙ্গলবারই বিশ্ব একাদশের বিরুদ্ধে ২০ রানের জয় দিয়েই নতুন ইনিংস শুরু করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট। যদিও পরের ম্যাচে হেরেছে ৭ উইকেটে। সাড়ে আট বছর পর ক্রিকেটকে স্বাগত জানিয়ে পাক ক্রিকেট সমর্থকরা উৎসবে মেতেছে। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান সফরে এলে ক্রিকেট পাগল দেশটির ক্রিকেট আরও অনেকদুর এগিয়ে যাবে, সন্দেহ নেই।

এবার বিশ্ব একাদশের কাছে হারাল পাকিস্তান

$
0
0

সিএনএ নিউজ,ডেস্ক : আগেরদিন সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২০ রানে পাকিস্তানের কাছে হেরে গিয়েছিল বিশ্ব একাদশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারাল তামিম ইকবালরা।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে সরফরাজ আহমেদরা। ৪৫ রান করেন বাবর আজম, ৪৩ রান করেন আহমেদ শেহজাদ।

জবাব দিতে নেমে হাশিম আমলার দারুন ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় বিশ্ব একাদশ। ৫৫ বলে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন আমলা। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কায়। থিসারা পেরেরা ১৯ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫টি ছক্কার মার ছিল তাতে।

তামিম ইকবাল ১৯ বল খেলে ২৩ রান করেন। ২টি বাউন্ডারি, ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি।

সিরিজের শেষ ম্যাচ শুক্রবার।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে নেই ফিল্যান্ডার

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ডেল স্টেইনের ফেরা হচ্ছে না, এটা জানা গিয়েছিল আগেই। নতুন খবর হলো, দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলতে পারবেন না আরেক পেসার ভারনন ফিল্যান্ডারও।

গত জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরে পিঠের চোটে পড়েছিলেন ফিল্যান্ডার। ফলে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টে খেলতে পারেননি। এরপর থেকেই তিনি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আছেন। বাংলাদেশ সিরিজের আগে আগামী মঙ্গলবার শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডে কেপ কোবরাসের হয়ে খেলার কথা ছিল তার। কিন্তু তাকে সেই ম্যাচ থেকে সরিয়ে নিয়েছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ)।

শুক্রবার ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল কমিটির প্রধান শুইব মানজরা বলেছেন, ‘ফিল্যান্ডার খুব ভালোভাবে ফিরে আসছে। ওর ফেরার জন্য আমরা প্রথম ম্যাচ টার্গেট করিনি। আমাদের লক্ষ্য ওকে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামানো।’

প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। ওইদিন পচেফ্স্ট্রুমে শুরু হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট। ফিল্যান্ডার যে প্রথম টেস্টে থাকছেন না, সেটাও জানালেন মানজরা, ‘আমাদের নীতি অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার আগে তাকে একটি কিংবা দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ম্যাচ খেলতে হবে।’

ফিল্যান্ডার কেপ কোবরাসের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলবেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ফিরতে হলে সেই ম্যাচে নিজেকে ফিট প্রমাণ করতে হবে তাকে। ব্লুমফন্টেইনে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৬ অক্টোবর।

স্টেইন-ফিল্যান্ডার না থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে পেস আক্রমণ সাজাতে হবে কাগিসো রাবাদা, মরনে মরকেল ও ডুয়ান অলিভিয়ের অথবা ক্রিস মরিসের একজনকে নিয়ে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর টেস্টের দল ঘোষণা করবে সিএসএ।

বিপিএলে কে কোন দলে

$
0
0

ক্রীড়াপ্রতিবেদক : রাজধানীর হোটেল র‍্যাডিসনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরের ‘প্লেয়ার্স ড্রাফট’ সম্পন্ন হয়েছে শনিবার। এবারের বিপিএলে অংশগ্রহণ করছে মোট সাতটি দল। প্লেয়ার্স ড্রাফটের মাধ্যমে সবগুলো দল নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিয়েছে।

জেনে নিন এবারের বিপিএলে কে কোন দলে :

ঢাকা ডানামাইটস

আইকন: সাকিব আল হাসান।

ধরে রেখেছে: মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী মারুফ, মোহাম্মদ শহীদ।

দেশি ক্রিকেটার: আবু হায়দার রনি, জহুরুল ইসলাম অমি, নাদিফ চৌধুরী, সাকলাইন সজীব, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, মোঃ সাদমান ইসলাম, নুর আলম।

বিদেশি ক্রিকেটার: কুমার সাঙ্গাকারা, শেন ওয়াটসন, শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির, শাহীন শাহ আফ্রিদি, রোভম্যান পাওয়েল, রন্সফোর্ড বিটন, এভিন লুইস, সুনীল নারিন, কেভিন কুপার, গ্রায়েম ক্রেমার, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, জো ডেনলি, আকিল হোসেইন।

চিটাগং ভাইকিংস

আইকন: সৌম্য সরকার।

ধরে রেখেছে: তাসকিন আহমেদ, আনামুল হক বিজয়, শুভাশিষ রায়।

দেশি ক্রিকেটার: সানজামুল ইসলাম, মোহাম্মদ আল-আমিন, আলাউদ্দিন বাবু, তানভীর হায়দার, ইরফান শুক্কুর, নাঈম হাসান, ইয়াসির আরাফাত।

বিদেশি ক্রিকেটার: লুক রনকি, লিয়াম ডসন, জীবন মেন্ডিস, জার্মেইন ব্ল্যাকউড, সিকান্দার রাজা, দিলশান মুনাবীরা, মিসবাহ-উল-হক, নাজিবুল্লাহ জাদরান, লেইস রেইস।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

আইকন: তামিম ইকবাল।

ধরে রেখেছে: ইমরুল কায়েস, লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

দেশি ক্রিকেটার: মোহাম্মদ আল-আমিন হোসেন, আরাফাত সানী, অলক কাপালী, মেহেদী হাসান।

বিদেশি ক্রিকেটার: শোয়েব মালিক, হাসান আলী, ফাহিম আশরাফ, ইমরান খান, ফখর জামান, জস বাটলার, কলিন মানরো, মারলন স্যামুয়েলস, ড্যারেন ব্রাভো, মোহাম্মদ নবী, রশীদ খান, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, সোলেমান মীরে।

খুলনা টাইটান্স

আইকন: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ধরে রেখেছে: মোশাররফ হোসেন রুবেল, শফিউল ইসলাম, আরিফুল হক।

দেশি ক্রিকেটার: নাজমুল হোসেন শান্ত, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, আফিফ হোসেন ধ্রুব, ইয়াসির আলি চৌধুরী, ধীমান ঘোষ, সাইফ হাসান

বিদেশি ক্রিকেটার: জুনায়েদ খান, সরফরাজ আহমেদ, শাদাব খান, বেনি হাওয়েল, কার্লোস ব্রাফেট, চাদরিক ওয়ালটন, ক্রিস লিন, ডাভিড মালান, কাইল অ্যাবট, রাইলি রুশো, সেকুগে প্রসন্ন, শিহান জয়াসুরিয়া, জোফরা আর্চার।

রাজশাহী কিংস

আইকন: মুশফিকুর রহিম।

ধরে রেখেছে: মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, ফরহাদ রেজা।

দেশি ক্রিকেটার: মুস্তাফিজুর রহমান, জাকির হোসেন, নিহাদউজ্জামান, রনি তালুকদার, হোসেইন আলী, নাঈম ইসলাম জুনিয়র, কাজী অনিক।

বিদেশি ক্রিকেটার: লুক রাইট, কেসরিক উইলিয়ামস, লেন্ডল সিমন্স, ড্যারেন স্যামি, ম্যালকম ওয়ালার, সামিত পাটেল, মোহাম্মদ সামি, জেমস ফ্রাঙ্কলিন, উসামা মীর, রেজা আলি দার।

রংপুর রাইডার্স

আইকন: মাশরাফি বিন মুর্তজা।

ধরে রেখেছে: মোহাম্মদ মিথুন, রুবেল হোসেন, সোহাগ গাজী।

দেশি ক্রিকেটার: শাহরিয়ার নাফীস আহমেদ, নাজমুল হোসেন অপু, জিয়াউর রহমান, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, আব্দুর রাজ্জাক, এবাদত হোসেন, মোঃ ইলিয়াস, নাহিদুল ইসলাম।

বিদেশি ক্রিকেটার: রবি বোপারা, ডেভিড উইলি, অ্যাডাম লিথ, জনাথন চার্লস, ক্রিস গেইল, স্যামুয়েল বদ্রি, থিসারা পেরেরা, কুশল পেরেরা, স্যাম হেইন, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, জহির খান।

সিলেট সিক্সার্স

আইকন: সাব্বির রহমান।

নতুন যুক্ত: নাসির হোসেন, তাইজুল ইসলাম, কাজী নুরুল হাসান সোহান।

দেশি ক্রিকেটার: আবুল হাসান রাজু, শুভাগত হোম, কামরুল ইসলাম রাব্বি, নাবিল সামাদ, মোহাম্মদ শরীফ, ইমতিয়াজ হোসেন তান্না, মোহাম্মদ শরীফুল্লাহ।

বিদেশি ক্রিকেটার: রস ওয়াইটলি, লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট, দাসুন শশাঙ্ক, উইন্দু হাসারাঙ্গা, উসমান খান, বাবর আজম, আন্দ্রে ম্যাকারথি, আন্দ্রে ফ্লেচার, ক্রিস স্টানিকজাই, ডেভি জ্যাকবস, চতুরঙ্গা ডি সিলভা, রিচার্ড লেভি, গোলাম মোদাসের খান।

বিপিএলের চূড়ান্ত সূচি

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক :এরই মধ্যে হয়েছে বিপিএলের প্লেয়ার ড্রাফটস। নিজেদের পছন্দের খেলোয়াড় দলে টেনেছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। আগামী ৩ নভেম্বর থেকে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে বিপিএলের জমজমাট ৫ম আসর। আগের বারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটসের সাথে উদ্বোধনী ম্যাচে অংশ নেবে সিলেট সিক্সার্স নাম নিয়ে আবার নতুন করে আসা সিলেটের স্বাগতিকরা।

প্রথম দিন দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্সআপ রাজশাহী কিংস ও রংপুর রাইডার্স। যেহেতু এবারের আসর শুরু হচ্ছে শুক্রবার। তাই প্রথম ম্যাচ শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। আর দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। 

শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন খেলা শুরু হবে দুপুর দুইটায়। আর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন প্রথম ম্যাচ শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। আর পরের খেলা ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে।

৩ থেকে ৭ নভেম্বর পাঁচদিন খেলা হবে সিলেটে। তবে এর মধ্যে ৫ নভেম্বর বিরতি। ৪ নভেম্বর দ্বিতীয় দিন প্রথম ম্যাচটিও খেলবে সিলেট সিক্সার্স। প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যার ম্যাচটি খেলবে খুলনা টাইটান্স ও ঢাকা ডায়নামাইটস।

৬ নভেম্বর প্রথম ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বী দল চিটাগাং ভাইকিংস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলবে সিলেট সিক্সার্স ও রাজশাহী কিংস। ৭ নভেম্বর প্রথম ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে রংপুর রাইডার্স ও চিটাগাং ভাইকিংস। আর সন্ধ্যায় দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে সিলেট সিক্সার্স ও খুলনা টাইটান্স।

৮ ও ৯ নভেম্বর বিরতি। তারপর ১০ নভেম্বর থেকে শুরু দ্বিতীয় পর্ব। ওই পর্বে খেলা হবে শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ঢাকা পর্বে খেলা হবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। ঢাকায় দ্বিতীয় পর্বের আয়ুস্কাল ১১ দিন হলেও মাঝে থাকবে তিনদিন বিরতি। এরপর ২২-২৩ নভেম্বর বিশ্রাম ও যাতায়াতের জন্য দু’দিন বিরতি।

২৪ নভেম্বর থেকে শুরু চট্টগ্রাম পর্ব। এরপর আবার ঢাকায় ফিরবে বিপিএল। ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শেরে বাংলায় ফাইনাল।

তারিখ ম্যাচ নম্বর মুখোমুখি সময় ভেন্যু
নভেম্বর ৩ সিলেট বনাম ঢাকা দুপুর ২.৩০ সিলেট
রাজশাহী বনাম রংপুর সন্ধ্যা ৭.১৫
নভেম্বর ৪ সিলেট বনাম কুমিল্লা দুপুর ২টা
খুলনা বনাম ঢাকা সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ৬ চিটাগং বনাম কুমিল্লা দুপুর ২টা
সিলেট বনাম রাজশাহী সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ৭ রংপুর বনাম চিটাগং দুপুর ২টা
সিলেট বনাম খুলনা সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ১০ রংপুর বনাম রাজশাহী দুপুর ২.৩০ ঢাকা
১০ ঢাকা বনাম সিলেট সন্ধ্যা ৭.১৫
নভেম্বর ১১ ১১ চিটাগং বনাম খুলনা দুপুর ২টা
১২ রাজশাহী বনাম কুমিল্লা সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ১৩ ১৩ ঢাকা বনাম খুলনা দুপুর ২টা
১৪ কুমিল্লা বনাম চিটাগং সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ১৪ ১৫ খুলনা বনাম সিলেট দুপুর ২টা
১৬ ঢাকা বনাম চিটাগং সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ১৭ ১৭ রাজশাহী বনাম সিলেট দুপুর ২.৩০
১৮ খুলনা বনাম চিটাগং সন্ধ্যা ৭.১৫
নভেম্বর ১৮ ১৯ ঢাকা বনাম রাজশাহী দুপুর ২টা
২০ রংপুর বনাম কুমিল্লা সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২০ ২১ ঢাকা বনাম কুমিল্লা দুপুর ২টা
২২ সিলেট বনাম রংপুর সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২১ ২৩ রাজশাহী বনাম খুলনা দুপুর ২টা
২৪ ঢাকা বনাম রংপুর সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২৪ ২৫ খুলনা বনাম রংপুর দুপুর ২.৩০ চট্টগ্রাম
২৬ চিটাগং বনাম সিলেট সন্ধ্যা ৭.১৫
নভেম্বর ২৫ ২৭ কুমিল্লা বনাম রাজশাহী দুপুর ২টা
২৮ চিটাগং বনাম রংপুর সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২৭ ২৯ চিটাগং বনাম ঢাকা দুপুর ২টা
৩০ খুলনা বনাম রাজশাহী সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২৮ ৩১ রংপুর বনাম সিলেট দুপুর ২টা
৩২ খুলনা বনাম কুমিল্লা সন্ধ্যা ৭টা
নভেম্বর ২৯ ৩৩ চিটাগং বনাম রাজশাহী দুপুর ২টা
৩৪ কুমিল্লা বনাম ঢাকা সন্ধ্যা ৭টা
ডিসেম্বর ২ ৩৫ কুমিল্লা বনাম রংপুর দুপুর ২টা ঢাকা
৩৬ ঢাকা বনাম রাজশাহী সন্ধ্যা ৭টা
ডিসেম্বর ৩ ৩৭ সিলেট বনাম চিটাগং দুপুর ২টা
৩৮ রংপুর বনাম খুলনা সন্ধ্যা ৭টা
ডিসেম্বর ৫ ৩৯ কুমিল্লা বনাম খুলনা দুপুর ২টা
৪০ রাজশাহী বনাম চিটাগং সন্ধ্যা ৭টা
ডিসেম্বর ৬ ৪১ ঢাকা বনাম রংপুর দুপুর ২টা
৪২ কুমিল্লা বনাম সিলেট সন্ধ্যা ৭টা
ডিসেম্বর ৮ ৪৩ এলিমিনেটর (পয়েন্ট টেবিলের তিন ও চার নম্বর দল) দুপুর ২.৩০
৪৪ প্রথম কোয়ালিফায়ার (পয়েন্ট টেবিলের এক ও দুই নম্বর দল) সন্ধ্যা ৭.১৫
ডিসেম্বর ১০ ৪৫ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার (৪৩ নম্বর ম্যাচে জয়ী দল ও ৪৪ নম্বর ম্যাচে পরাজিত দল) সন্ধ্যা ৭টা
ডিসেম্বর ১২ ৪৬ ফাইনাল (৪৪ ও ৪৫ নম্বর ম্যাচে জয়ী দল) সন্ধ্যা ৭টা
ডিসেম্বর ১৩ ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে

বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের সহজ জয়

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক:জনি বেয়ারস্টোর দারুণ সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটের বড় পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়েছে উইন্ডিজকে। পাশাপাশি সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে হলে গেইল-স্যামুয়েলসের খেলতে হবে বাছাই পর্ব। বাছাই পর্বে শীর্ষ দুইয়ে না থাকলে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ হারাবে তারা।

সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে হলে মঙ্গলবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে জিততেই হতো উইন্ডিজকে। কিন্তু ব্যাট-বলের অসাধারণ পারফরম্যান্সে ম্যাচ জিতে নেয় এউইন মরগানের ইংল্যান্ড। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে উইন্ডিজ ৯ উইকেটে ২০৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে ইংল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ নেমে আসে ৪২ ওভারে।

দুই দলের সবশেষ ১৩ মুখোমুখিতে ১২টিতেই জয় ইংল্যান্ডের। পরিসংখ্যান দুই দলের পার্থক্য স্পষ্ট করলেও ওল্ড ট্রাফোর্ডের ম্যাচটি নিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। টেস্ট সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নেয় উইন্ডিজ। ধারণা করা হচ্ছিল, গেইল, স্যামুয়েলসরা স্বরূপে ফিরে ক্যারিবিয়ানদের সঠিক পথ দেখাবেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের দাপটের দিনে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ উইন্ডিজ।

জনি বেয়ারস্টো ৯৭ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ওপেনিংয়ে অ্যালেক্স হেলসকে (১৯) হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে ১৯ ওভারে ১২৫ রান যোগ করেন বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ডের জয় সেখানেই নিশ্চিত হয়ে যায়। রুট ৫৪ করে ফিরে গেলেও বেয়ারস্টো শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন। বেন স্টোকসকে (২৩) সাথে নিয়ে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ওপেনিংয়ে নেমে বেয়ারস্টো পান সেঞ্চুরির স্বাদ। ৯৭ বলে ১১ চারে ১০০ রানের ইনিংসটি সাজান ২৭ বছর বয়সি এ ক্রিকেটার।

এর আগে উইন্ডিজের হযে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। এছাড়া দলে ফেরা ক্রিস গেইল ৩৭ এবং সাই হোপ ৩৫ রান করেন। বল হাতে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন বেন স্টোকস। ২ উইকেট পান ক্রিস ওকস ও আদিল রশীদ।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন বেয়ারস্টো। বৃহস্পতিবার নটিংহ্যামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

বাংলাদেশসহ সাত দলের সঙ্গে সরাসরি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক:ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরে যাওয়ায় হাফ ছেড়ে বাঁচল শ্রীলঙ্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজদের হারে শ্রীলঙ্কা সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে।

৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ আট দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে, তা আগেই জানিয়েছিল আইসিসি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল এ সময়ের মধ্যে আরও চারটি ওয়ানডে খেলবে। জিতলেও তাদের র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হবে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং পয়েন্ট ৭৮, শ্রীলঙ্কার ৮৬।

স্বাগতিক দেশ হিসেবে ইংল্যান্ড সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে। তাদের সঙ্গে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।

সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাওয়ায় নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছেন শ্রীলঙ্কা। দলটির অধিনায়ক উপল থারাঙ্গা বলেছেন, ‘এটা লুকানোর কিছু নেই যে আমরা কঠিন সময় পার করছি। আমি এ মুহূর্তে আমাদের ভক্ত, সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের আস্থার কারণেই আমরা টিকে আছি। আইসিসি ইভেন্টে বরাবরই শ্রীলঙ্কা ম্যাজিকাল পারফরম্যান্স করে। আশা করছি আগামী বিশ্বকাপেও আমরা ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।’

দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনেও বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ রয়েছে। তবে তাদের খেলতে হবে বাছাই পর্বে। বাছাই পর্বের সেরা দুই দল আট দলের সঙ্গে বিশ্বকাপে খেলার টিকেট পাবে।

২০১৮ সালে আইসিসি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলার আয়োজন করবে। বাছাই পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গী আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড এবং আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা চারটি দল এবং আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের (ডিভিশন-২) সেরা দুই দল। দশ দলের লড়াইয়ের সেরা দুই দল বিশ্বকাপে খেলবে।

২০১৯ সালের ৩০ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ইংল্যান্ডে বসবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর।


বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক : সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা।

ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয় ম্যাচটি। ম্যাচের নবম মিনিটেই গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন সৈকত মাহমুদ মুন্না। বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জোড়া গোল করা জাফর ইকবাল।

দ্বিতীয়ার্ধে গোলের সুযোগ পেলেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যবধান কমাতে পারেনি মালদ্বীপও। ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে স্বাগতিক ভুটানও। বুধবার দিনের প্রথম ম্যাচে তারা নেপালকে হারায় ১-০ গোলে। ৮৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি পায় ভুটান।

বাংলাদেশ এর আগে প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ৩ গোলে পিছিয়ে পড়েও অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে ৪-৩ গোলের জয় পায়। আর ভুটান মালদ্বীপকে ১-০ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করে।

দুই ম্যাচে দুই জয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের পয়েন্ট সমান ৬। তবে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে। আর শেষ ম্যাচ ২৭ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক ভুটানের সঙ্গে।

পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে খেলা হচ্ছে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। অর্থাৎ প্রত্যেক দল একে অন্যের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলবে। সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দলটিই হবে চ্যাম্পিয়ন।

ইংল্যান্ড-উইন্ডিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক : প্রথম ওয়ানডেতে বৃষ্টি হলেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ঠিকই বৃষ্টি দাপট দেখাল।

বৃষ্টির বাগড়ায় ইংল্যান্ড ও উইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়েছে বৃহস্পতিবার।

নটিংহ্যামের ট্রেন্ট বিজ্রে দুই দলের খেলা হয়েছে মাত্র ২.২ ওভার। টস জিতে স্বাগতিক দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় উইন্ডিজ। বিনা উইকেটে ২১ রান তুলে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। ‍বেরসিক বৃষ্টির কারণে এরপর মাঠে নামার সুযোগ হয়নি দুই দলের ক্রিকেটারদের।

 

দুপুর ১২টা ৪২ মিনিটে প্রথম বৃষ্টি শুরু হয়। দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে খেলা পুনরায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেজন্য মাঠ প্রস্তুত করছিলেন মাঠকর্মীরা। কিন্তু খেলা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে আবারও বৃষ্টি শুরু হলে ম্যাচ পরিত্যক্ত করে দেন অফিসিয়ালরা। বিকেল ৪টা ১১ মিনিটে ম্যাচ পরিত্যক্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।

এদিকে এ ম্যাচে মাঠে নামার আগে গা-গরম করার সময় চোট পান বার্থডে বয় ক্রিস গেইল। তাকে একাদশের বাইরে রেখে দল সাজায় উইন্ডিজ। মাঠ থেকে দুপুরেই গেইলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আগামী রোববার লন্ডনের কেনিংটন ওভালে তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে এউইন মরগানের দল।

মুস্তাফিজদের খাটিয়ে নিল দ. আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক :মুস্তাফিজুর রহমান, শুভাশিস রায়, মেহেদী হাসান মিরাজ, শফিউল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান- আটজনের প্রথম ছয়জনই বিশেষজ্ঞ বোলার। সবাই মিলে বোলিং করলেন ৯১ ওভার। তারপরও ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশকে অলআউট করতে পারল না বাংলাদেশ। উল্টো ৮ উইকেটে ৩১৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ৭ রানের লিড নিল আমন্ত্রিত একাদশ!

টেস্টের আগে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। লিড এখানে বড় বিষয় নয় মোটেই। কিন্তু এমন একটা দল, যে দলে নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোনো ক্রিকেটার। বেশিরভাগই দক্ষিণ আফ্রিকার একাডেমির খেলোয়াড়। সেই দলটাই শুক্রবার প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের প্রায় পুরোটাই খাটিয়ে নিল মুস্তাফিজ-তাসকিনদের।

বেনোনির উইলোমুর পার্কে প্রথম দিনের শেষ দিকে ৫.৩ ওভার ব্যাট করে ১ উইকেটে ২১ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ। একটি উইকেট সাব্বির রহমানের কল্যাণে। আইজ্যাক ডিকগালেকে করেছিলেন রানআউট। দ্বিতীয় দিন ৮৫.৩ ওভার ব্যাট করল স্বাগতিক দল। বাংলাদেশের বোলাররা উইকেট ফেলতে পারলেন মাত্র ৭টি! স্বীকৃত ছয় বোলারই যদিও উইকেট পেয়েছেন। তবে সর্বোচ্চ ২ উইকেট পেয়েছেন একজন, শফিউল।

অথচ দিনের শুরুতেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন শুভাশিস। ডানহাতি পেসার আগের দিনের আরেক ওপেনার ইয়াসিন ভিয়াকে ফিরিয়ে দেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ। ডু প্লোকে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়েছেন শফিউল। হেনরিখ ক্লাসেনকে মুমিনুলের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেছেন মুস্তাফিজ। তাসকিনের শিকার ফিফটি করা জুবায়ের হামজা (৬০)। তখন ১১০ রানেই ৫ উইকেট নেই স্বাগতিক দলের।

কিন্তু এরপর স্বাগতিকদের ওপর চাপটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। শফিউল-মিরাজদের হতাশায় ডুবিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ পরের ৩ উইকেট জুটিতেই তুলেছে ২০৩ রান!  ছয়, সাত, আট ও নয় নম্বরে নামা চার ব্যাটসম্যানের দুজনই করেছেন ফিফটি। বাকি দুজনের ব্যাটেও এসেছে চল্লিশোর্ধ ইনিংস। ৪৪ রান করা ম্যাথু ব্রিটেজকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট নিয়েছেন মিরাজ।

এরপরই সবচেয়ে বড় জুটিটা পেয়েছে স্বাগতিকরা। সপ্তম উইকেটে ৭৯ রান যোগ করেন ম্যাথু ক্রিস্টেনসেন ও শন ভন বার্গ। দুজনই পেয়েছেন ফিফটি। ক্রিস্টেনসেনকে (৫৩) ফিরিয়ে জুটি ভেঙেছেন শফিউল। তবে অষ্টম উইকেটে মিগুয়েল প্রিটোরিয়াসকে (৪২) সঙ্গে নিয়ে আরো ৬০ রান যোগ করেন বার্গ। আটে নামা বার্গ ১১০ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

সর্বোচ্চ ১৬ ওভার বল করেছেন দুই স্পিনার তাইজুল ও মিরাজ। তাইজুল ৪৭ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন একটি। মিরাজও একটি উইকেট নিয়েছেন ৫৬ রান দিয়ে। শুভাশিস ১৫ ওভারে ২৭ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন, মেডেন ওভার ৭টি। ১৩ ওভার বল করে ৭টি মেডেন নিয়েছেন মুস্তাফিজও, ২৮ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন একটি। তাসকিন ১৪ ওভারে ৭০ রান দিয়ে একটি, শফিউল ১২ ওভারে ৬১ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। সৌম্য ও সাব্বির মিলে বল করেছেন ৫ ওভার।

দিনে ৩ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ বিনা উইকেটে তুলেছে ৬ রান। প্রথম ইনিংসে তামিম ইকবাল চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ায় ব্যাটিং অর্ডারে এসেছে পরিবর্তন। প্রথম ইনিংসে আটে নেমে ২ বল খেলেই আউট হওয়া লিটন দাস এসেছেন ওপেনিংয়ে। ওপেনিংয়ে ফিরেছেন ইমরুল কায়েসও। ১২ বলে লিটন করেছেন ২, ইমরুল ৬ বলে ৪।

সব মিলিয়ে বোঝাই যাচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় শুধু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্যই নয়; বোলারদের জন্যও অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ!

দুপুরে মাঠে নামবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া

$
0
0

স্পোর্টস ডেস্ক :ক্রিকেট
ভারত-অস্ট্রেলিয়া
তৃতীয় ওয়ানডে
সরাসরি, দুপুর ২টা
স্টার স্পোর্টস ১
উইন্ডিজ-ইংল্যান্ড
সরাসরি, বিকাল ৪টা
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি ২

ফুটবল
লা লিগা
এস্পানিওল-দেপোর্তিভো
সরাসরি, বিকাল ৪টা
গেটাফে-ভিয়ারিয়াল
সরাসরি, রাত ৮.৩০ মি.
এইবার-সেল্টা ভিগো
সরাসরি, রাত ১০.৩০ মি.
রিয়াল সোসিয়েদাদ-ভ্যালেন্সিয়া
সরাসরি, রাত ১টা
সনি টেন ২
সিরি’আ
সাম্পাদোরিয়া-এসি মিলান
সরাসরি, বিকাল ৪.৩০ মি.
ফিওরেন্তিনা-আটালান্টা
সরাসরি, রাত ১টা
সনি টেন ১
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
আলবিওন-নিউক্যাসল
সরাসরি, রাত ৮.৫০ মি.
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি ১ 

কাবাডি

ইন্ডিয়ান প্রো কাবাডি লিগ
ওয়ারিয়র্স-তামিল
সরাসরি, রাত ৮.২০ মি.
দাবাঙ্গ-হারিয়ানা
সরাসরি, রাত ৯.৩০ মি.
স্টার স্পোর্টস ২

ব্রিস্টলে মঈনের তান্ডব, ৫৩ বলে সেঞ্চুরি

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক :ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ রোববার ব্রিস্টলে ব্যাট হাতে তা-ব চালিয়েছেন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা মঈন আলী। তুলে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্রুততম দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এবং সেটি তিনি করেছেন মাত্র ৫৩ বলে।

৫৩ বলের ১৫টিকে করেছেন মাঠ ছাড়া। তার মধ্যে ৭টি চার, ৮টি ছক্কা। অর্থাৎ ১৫ বলেই মঈন করেছেন ৭৬ রান! ৪৮.৫ ওভারের সময় দলীয় ৩৫৪ রানের মাথায় তিনি যখন আউট হন তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল ১০২ রান। যা এসেছে মাত্র ৫৭ বলে। তার আগে ইংল্যান্ডের জস বাটলার মাত্র ৪৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। যা ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি।

রোববার ব্যাট করেত নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন মঈন। ৪৩ ওভার শেষে মঈনের রান ৩৭ বলে ৩৭। ৪৪ ওভার শেষে তার রান ৩৯ বলে ৩৯। ৪৫তম ওভার বল হাতে আসেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিগুয়েল কামিন্স। তার উপর চরাও হন মঈন। ক্রিস ওকস কামিন্সের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে মঈনকে স্ট্রাইক দেন। পরের পাঁচ বলে মঈন তোলেন ২৪ রান! মারেন তিনটি ছক্কা, ১টি চার, সঙ্গে ২ রান। ৩৯ বলে ৩৯ করা মঈনের রান কামিন্সের ওভারের পরে হয়ে গেল ৪৪ বলে ৬২! ৪৬ তম ওভারে জ্যাসন হোল্ডারকেও তুলোধুনো করেন তিনি। একইভাবে এবারও ২৫ রান তোলেন মঈন। তাতে ৪৯ বলে তার রান হয় ৮৭!

৪৭তম ওভারে জীবন পান মঈন। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তার ক্যাচ ছাড়েন গেইল। ৪৭ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান ৩৩৬/৭। মঈনের রান ৫০ বলে ৮৮। ৪৮তম ওভারে আবার আসেন মিগুয়েল কামিন্স। তার প্রথম বলে ১ রান নিয়ে মঈনকে স্ট্রাইক দেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ৯৪ রানে পৌঁছে যান মঈন। পরের বলে কোনো রান নেননি। চতুর্থ বলে আবারো ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। হয়ে যান ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্রুততম দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান।

এরপর আরো ৭ বল খেলে ২ রান করেন মঈন। এই ৭ বলের মধ্যে আরো দুইবার জীবন পান তিনি। কিন্তু চতুর্থবার আর জীবন পাননি। নার্সের বলে জ্যাসন হোল্ডারের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন মঈন আলী। যাওয়ার আগে ব্রিস্টলে তুলে যান ঝড়।

ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ

$
0
0

সিএনএ নিউজ,ডেস্ক :ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে কোন কোন দল মুখোমুখি হয়েছিল? এমন প্রশ্নে অনেকের মনে উঁকি দিতে পারে ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরনো দ্বৈরথ অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের নাম। যারা ১৮৭৭ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছিল। কিন্তু না। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডেরও ৩৩ বছর আগে (১৮৪৪ সালে) প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো ক্রিকেটের পুরনো কোনো দল মুখোমুখি হয়নি। মুখোমুখি হয়েছিল ব্রিটিশ সা¤্রাজ্যের প্রদেশ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। ১৮৪৪ সালের ২৪ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল দুদিনের ম্যাচটি। যদিও বৃষ্টির কারণে ম্যাচের আয়ুস্কাল আরো একদিন বেড়েছিল (২৪-২৬ সেপ্টেম্বর)। পরবর্তীতে এই ম্যাচটিকে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সেই ম্যাচটি হয়ে যায় ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

লো স্কোরিং সেই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ২৩ রানে হারিয়েছিল কানাডা।

নিউ ইয়র্কের সেন্ট জর্জেস ক্রিকেট ক্লাবের ব্লুমিংডেল পার্কে ২৪ সেপ্টেম্বর টস জিতে যুক্তরাষ্ট্র। তারা কানাডাকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায়। কানাডা প্রথম দিনে ব্যাট করতে নেমে ৮২ রানে অলআউট হয়। বল হাতে যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড উয়িঙ্কওর্থ ও ফ্রেড ফ্রেঞ্চ ৪টি করে উইকেট নেন।

জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ৯ উইকেট হারিয়ে ৬১ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে দ্বিতীয় দিন আর খেলা হয়নি। বাধ্য হয়ে ম্যাচটি গড়ায় তৃতীয় দিনে। সেদিন দলীয় সংগ্রহে আরো ৩ রান যোগ করে ৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। বল হাতে কানাডার স্যাম রাইট ৫টি উইকেট নেন।

১৮ রানের লিড নিয়ে কানাডা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। এবার তারা ৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। এই ইনিংসে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ শার্প একাই ৬ উইকেট নেন। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৮২ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৫৮ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দশম ব্যাটসম্যান মাঠে নামতে ব্যর্থ হন। তাতে ২৩ রানে জয় পায় কানাডা। এই ইনিংসে কানাডার হেনরি গ্রুম ৫ উইকেট নেন। যুক্তরাষ্ট্রের অপর চারটি উইকেট নেন আগের ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া কানাডার স্যাম রাইট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট শিকার করেন স্যাম।

এই ম্যাচটি দেখার জন্য ২০ হাজার দর্শক মাঠে উপস্থিত হয়েছিল। এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে বাজিকরদের পকেটও বেশ গরম হয়েছিল। বলা হয়ে থাকে ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের (বর্তমানে বাংলাদেশি টাকায় ৯৮ রাখ ৬১ হাজার) বেটিং হয়েছিল এই ম্যাচ নিয়ে।

ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার নাম ছিল ক্রিকেট। সে সময় বোস্টন, ওয়াশিংটন ডিসি, ফিলাডেলফিয়া ও নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রচুর ক্রিকেট ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কানাডার বিপক্ষের এই ম্যাচকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র ক্লাবগুলো থেকে সেরা সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে এসেছিল। কানাডাও তাদের স্থানীয় ক্লাবগুলোর সেরা সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে নিউ ইয়র্কে এসেছিল।

:: সংক্ষিপ্ত স্কোর ::

।। কানাডা ।।

প্রথম ইনিংস : ৮২/১০

দ্বিতীয় ইনিংস : ৬৩/১০

।। যুক্তরাষ্ট্র ।।

প্রথম ইনিংস : ৬৪/১০

দ্বিতীয় ইনিংস : ৫৮/৯।

ফল : কানাডা ২৩ রানে জয়ী।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা আইসিসির সহযোগী সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ১ হাজারেরও বেশি নিবন্ধিত ক্রিকেট ক্লাব রয়েছে। যারা বছরে ৪৯টিরও বেশি লিগ আয়োজন করে। ২০০৪ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেবার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে দুটিতেই হেরেছিল। এছাড়া ২০১৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সব ধরণের টুর্নামেন্টের বাছাইপর্ব খেলেছে।

কানাডার বর্তমানে ৯টি প্রাদেশিক ক্রিকেট বোর্ড রয়েছে। ২০১১ বিশ্বকাপে খেলেছিল তারা। এ ছাড়া ১৯৭৯, ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলা কানাডা।

না ফেরার দেশে কলসিন্দুরের ফুটবলার সাবিনা

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক :বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল দলের সদস্য সাবিনা আক্তার আর নেই। তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

ময়মনসিংহ জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম কলসিন্দুর থেকে অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা পেয়েছিলেন সাবিনা। স্বপ্ন ছিল একদিন বড় ফুটবলার হওয়ার। বুধবার তার ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা ছিল।

সাবিনা মঙ্গলবার দুপুরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাবিনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মালিহা রানী সরকার। তিনি বলেন, ‘রোববার থেকে জ্বরে ভুগছিল সাবিনা। আজ জ্বর বাড়লে তাকে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবলে ২০১৩ সালের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন সাবিনা। এরপর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪ দলের প্রাথমিক দলে ডাক পান এ ফুটবলকন্যা।


চ্যালেঞ্জ নিতে প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক :দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্ক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বৃহস্পতিবার স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।

প্রোটিয়াদের ঘরের মাঠে বলার মতো কোনো সুখস্মৃতি নেই বাংলাদেশের। তবে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ নতুন চ্যালেঞ্জ নিতেই নয় বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে তাদের বিপক্ষে খেলতে নামবে।

ক্রিকেটের কোনো সংস্করণেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এবার ইতিহাস বদলের স্বপ্ন নিয়েই সাদা পোশাকে মাঠে নামতে যাচ্ছে মুশফিক অ্যান্ড কোং।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের কন্ডিশনে ভালো করা কতটা কঠিন সেটা হয়তো ভালো করেই জানেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে দুঃসহ অতীত ভুলে প্রতিভাবান তরুণদের নিয়ে নতুন কিছু করার আহ্বান তার কণ্ঠে।

টেস্টে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে গত এক বছরে ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশ। সবশেষ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্মৃতি এখনো বেশ তাজা। তাই শক্তিশালী এ সংস্করণে ভাগ্যের ছোঁয়ার সঙ্গে নিজেদের সেরাটা দিলে জয় সম্ভব বলে মনে করছেন মুশফিক।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে চলুন দুই দলের পরিসংখ্যানের পাতায় একটু চোখ বুলাই। সাদা পোশাকে এখন পর্যন্ত মোট ১০ বার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। তবে কোনোটিতেই জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা। দুটি টেস্ট ড্র হলেও তাতে বৃষ্টির আশীর্বাদ ছিল। বাকি আট টেস্টেই জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের টেস্টের ফলাফল আরো ভয়াবহ। চার টেস্টের সবকটিতেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ইনিংসে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ৩৩০। তবে বিবর্ণ সে অধ্যায় পেরিয়ে এখন অনেক দূর এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বছর জুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে নিজেদের বদলে যাওয়ার কথা জানান দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই ম্যাচ শুরুর আগে আবারও ভালো শুরু ও ছন্দ ধরে রাখার কথা জানালেন টাইগার দলপতি।

সাকিবকে ছাড়া কেমন করে বাংলাদেশ?

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ক্রিকেটের ধ্রুবতারা সাকিব আল হাসান। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বিশ্ব দরবারে রাঙিয়ে তুলেছেন রংধনুর সাত রং-এ।

দক্ষিণ আফ্রিকার আদুরে নাম ‘রংধনুর দেশ’। অথচ রংধনুর দেশটিতে নেই ধ্রুবতারা সাকিব! সাদা পোশাকে পচেফস্ট্রুমে পুরো বাংলাদেশ যখন দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গাইছিল, তখন ক্যামেরা খুঁজে ফিরছিল দেশের সেরা ক্রিকেট তারকাকে। কিন্তু সেখানে নেই চিরচেনা হাস্যোজ্জ্বল মুখটি। সাকিবকে পেলে ক্যানভাসটি পূর্ণ রূপ পেত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

টেস্ট থেকে ছয় মাসের ছুটি চাওয়া বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে দুই টেস্টের সিরিজে বিশ্রাম দিয়েছে বিসিবি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সাকিব খেলবেন না। প্রশ্ন একটাই সাকিবকে ছাড়া কেমন খেলে বাংলাদেশ?

২০০৭ সালে সাকিবের অভিষেক ভারতের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ পর্যন্ত ৫১ টেস্টে ৩ হাজার ৫৯৪ রান ও ১৮৮ উইকেট তার নামের পাশে। বলার অপেক্ষা রাখে না শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেটেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এ অর্জন অসাধারণ তকমা পেয়েছে। সাকিবের অভিষেকের পর বাংলাদেশ খেলেছে ৫৮ টেস্ট। এর মধ্যে কেবল ৭টিতেই ছিলেন না সাকিব।

ভারতের বিপক্ষে অভিষেকের পর টানা দুই টেস্টে দলে ছিলেন সাকিব। প্রথম তিন টেস্টে আশানুরূপ পারফরম্যান্স না থাকায় শ্রীলঙ্কা সফরের শেষ দুই টেস্ট থেকে বাদ পড়েন। সেটাও ২০০৭ সালে। বছরের শেষ দিকে নিউজিল্যান্ড সফরে যায় বাংলাদেশ। বন্ধু তামিমের অভিষেক ম্যাচে সাকিব ছিলেন একাদশের বাইরে। তিন টেস্ট পর পারফরম্যান্সের কারণেই বাদ পড়েছিলেন আজকের সাকিব। তিন টেস্টে দলে থাকার মতো আহামরি কোনো পারফরম্যান্সই ছিল না। বল হাতে কোনো উইকেট পাননি, পাঁচ ইনিংসে রান করেছিলেন মাত্র ৯৬।

সাকিবের বাদ পড়ার পর যে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স পরিবর্তন হয়েছে, এমনটাও নয়। শ্রীলঙ্কায় দুই টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। একটি ইনিংসে তো বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল মাত্র ৬২ রানে! নিউজিল্যান্ডেও ভাগ্য পাল্টায়নি। সাকিবের না থাকার ম্যাচে বাংলাদেশ হারে ৯ উইকেটের ব্যবধানে। নিউজিল্যান্ডে দ্বিতীয় ম্যাচে এনামুল হক জুনিয়রের পরিবর্তে দলে আসেন সাকিব। দলে ফেরার পর আহামরি পারফরম্যান্স না করলেও দলে টিকে যান। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সাকিবকে।

প্রথম তিন টেস্টের পর পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়লেও পরের চার টেস্টে সাকিবের একাদশে না থাকার কারণ ভিন্ন।

২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে দলে ছিলেন না চোটের কারণে। গলে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সাকিবকে ছাড়া কৃতিত্বপূর্ণ ড্র করে। ওই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব ছিলেন না। বাংলাদেশ কলম্বোতে গিয়ে ম্যাচ হারে ৭ উইকেটে।

সাকিবকে ছাড়া ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যায় বাংলাদেশ। শৃঙ্খলাজনিত কারণে সাকিবকে ছয় মাস নিষিদ্ধ করে বোর্ড। নিষেধাজ্ঞার কারণে ইনফর্ম সাকিবকে ছাড়া খেলে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের ওই সফরের আগের সফরেই সাকিব সিরিজসেরা হয়ে ২-০ ব্যবধানে বাংলাদেশকে জিতিয়েছিলেন। পরের সফরে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারে। একটি ম্যাচে ১০ উইকেটে, আরেকটি ম্যাচে ২৯৬ রানে হারে বাংলাদেশ।

সব মিলিয়ে সাকিবের না থাকা ৭ ম্যাচের ৬টিতেই বড় ব্যবধানে হারতে হয় বাংলাদেশকে। ১টি ম্যাচ বাংলাদেশ ড্র করে। সেটা ২০১৩ সালে গলে। লঙ্কানদের করা ৪ উইকেটে ৫৭০ রানের জবাবে ৬৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে মুশফিকুর রহিম প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন। মোহাম্মদ আশরাফুল ১৯০ এবং নাসির হোসেন ১০০ রান করেছিলেন। রান-বন্যার ম্যাচটি ড্র করে বাংলাদেশ।

সাকিব এবার নেই ব্যক্তিগত চাওয়ায়। রংধনুর দেশে গল ফিরে আসে কি না, সেটাই এখন দেখার।

তামিম-মুমিনুলেই এখন স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক :তামিম ইনিংস ওপেন করতে নামলেন না। সবার শঙ্কা ছিল, হয়তো বা তিনি ব্যাটিংই করতে পারবেন না। তবে নেমেছেন ৫ নম্বরে। মুমিনুল হকের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তিনি। গড়েছেন ২৪ রানের জুটি। এর মধ্যে ২২ রান তামিমের একারই। মুমিনুল রয়েছেন ২৮ রান নিয়ে। দ্বিতীয় দিন শেষ হলো দু’জনকে এ অবস্থায় রেখে। বাংলাদেশের রান ৩৪ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৭। বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে এখনও ৩৬৯ রান।

যে উইকেটটি ছিল প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের জন্য পুরোপুরি ব্যাটিং উইকেট। বাংলাদেশের বোলাররা যে উইকেটে কোনো ক্যারিশমাই দেখাতে পারেননি, সে উইকেটেই যখন বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামলো, তখন সেটা হয়ে গেলো বোলিং উইকেট। 

দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং তামিমের পরিবর্তে মাঠে নামা লিটন কুমার দাস শুরুতেই বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে ফিরে গেলেন। দলীয় ১৬ রানে ৭ রান করে আউট হলেন ইমরুল কায়েস। এরপর ব্যাক্তিগত ২৫ রানে, দলীয় ৩৬ রানে আউট হলেন লিটন।

এ দুজন আউট হওয়ার পর ভালোই জুটি বাধলেন মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহীম। দু’জন মিলে গড়লেন ৬৭ রানের জুটি। ইমরুল-লিটনের দ্রুত বিদায়ের পর সবাই ভেবেছিল, মুমিনুল আর মুশফিক মিলে হয়তো একটা স্থিতাবস্থা নিয়ে আসতে পারবেন। কিন্তু সেটা সম্ভব হলো না আর। স্পিনার কেশাব মাহারাজের বলে ফরোয়ার্ড শট লেগে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মুশফিক। ৫৭ বল খেলে তিনি করেন ৪৪ রান।

এর আগে ইনিংসের শুরুতে তামিম ইকবাল ব্যাট করতে নামতে পারেননি। এ কারণে ইনিংস ওপেন করতে নামতে হয়েছে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে লিটন কুমার দাসকে। তবে ইমরুলই সর্ব প্রথম ভুলটা করে বসলেন। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারেই উইকেট হারালেন তিনি। প্রোটিয়াদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে। নতুন বলে কিভাবে হালকা বাউন্স কিংটা শর্ট বল করে বাংলাদেশের ওপেনারদের বিপদে ফেলতে হবে, সে অ্যানালাইসিস করেই মাঠে নেমেছে স্বাগতিকরা।

৬ষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলটি কাগিসো রাবাদা করলেন শর্ট। এই বলটিই বুঝতে পারলেন না ইমরুল। ব্যাট আর গ্লাভসে লাগিয়ে জমা দিলেন দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো এইডেন মার্কামের হাতে। দলীয় রান তখন মাত্র ১৬। ৭ রান করে আউট হলেন ইমরুল।

ইনিংসের ১১তম ওভারেই উইকেট হারান লিটন কুমার দাস। এবারও প্রায় ইমরুলের মত একই ভুল করলেন তিনি। ব্যাটের বাইরের কানায় লাগিয়ে বল দিলেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো হাশিম আমলার হাতে। ক্যাচটি লুফে নিতে কষ্টই করতে হয়নি আমলাকে। দলীয় ৩৬ এবং নিজের ২৫ রানে ফিরে গেলেন লিটন।

এরপর মুমিনুল আর মুশফিক মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় থামানোর চেষ্টা করলেও পারলেন না। কারণ, কেশব মাহারাজের ঘূর্ণি বুঝতে পারেননি। ব্যাট আর প্যাডে লেগে বল ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে গেলে ক্যাচ ধরেন সেই এইডেন মার্করাম।

পাকিস্তানি ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ডাচ তরুণীর অভিযোগ

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক : পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইমাদ ওয়াসিমের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছেন আফগানিস্তান বংশোদ্ভুত এক ডাচ তরুণী। ইমাদ তাকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেগুলোর কোনোটিই রাখেননি। গেল এক মাস ধরে সেই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমাদ ওয়াসিম ও সেই তরুণীর ছবি ভাইরাল হয়েছে।

ডাচ তরুণী দাবি করেছেন লন্ডনে তাদের দেখা হয়েছে। সে সময় তারা কিছু ভালো সময়ও কাটিয়েছে। সে সময় ইমাদ ওই তরুণীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি ছাড়াও নানারকম প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেসব কথা অস্বীকার করেন পাক ক্রিকেটার। ডাচ তরুণীর আনা অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন ইমাদ।

ইমাদ তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করার বিষয়ে ডাচ তরুণী বলেন, ‘আসলে তার কাছ থেকে এমন কথা শোনা সত্যিই বিরক্তিকর। আমরা একসঙ্গে কিছু সময় কাটিয়েছিলাম। আপনি তো ভিডিও ফটোশপ করতে পারবেন না। ভিডিওতে আপনারা স্পষ্ট দেখতে পাবেন আমাকে ও তাকে। সে যদি আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে না চায়, ভালো কথা। কিন্তু সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমাকে দেওয়া তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। সে আমাকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।’

ডাচ তরুণী আরো বলেন, ‘দেখা করার আগে ইমাদ আমাকে বলেছিল যে সে আমাকে বিয়ে করতে চায়। তার আগে সে আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়। কিছু সময় কাটাতে চায়। এরপর লন্ডনে আমাদের দেখা হয়। দুইবার আমরা দেখা করি। জুলাইতে প্রথম দেখা হয়। এরপর চলতি মাসের শুরুতেও একবার দেখা হয়। এরপর থেকে ইমাদ আমাকে এড়িয়ে চলছে। যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি খুব বেশি কিছু চাই না, সে আমার সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে সেটার জন্য আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করুক।’

তথ্যসূত্র : পাকিস্তান অবজারভার

বোলিংয়ে ভালো শুরু

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক :হতে পারত পুরো দিনটি বাংলাদেশের! কিন্তু হলো না। দক্ষিণ আফ্রিকার ডেরায় প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে না পারলেও নিষ্প্রাণ ও মন্থর উইকেটে ব্যাটিংয়ে লড়ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই লড়াই ছিল শুধুমাত্র প্রতিরোধের। ফলে পচেফস্ট্রুম টেস্টে দাপট দেখাতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় দিন শেষেও ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতেই রেখেছে।

প্রথম ইনিংসে ছন্দহীন ও বিবর্ণ বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে রেণু ছড়িয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু রোমাঞ্চ ছড়াতে পারেননি। সাফল্য পেলেও পারেনি উৎসবে মাততে। থিতু হয়ে ব্যাটসম্যানরা আউট হয়েছেন বাজে বলে! মনোসংযোগের ঘাটতি কিংবা টেস্ট খেলার অনভিজ্ঞতা; ব্যর্থতার ব্যাখ্যা এগুলোই হতে পারে!

ইনিংসে প্রথমবারের মতো তৃতীয়, থেকে ষষ্ঠ উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি পায় বাংলাদেশ। কিন্তু কোনো জুটি শতরানের মুখ দেখেনি। একটি কিংবা দুটি জুটি বড় হলেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট হাতে কড়া জবাব দিতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু সেরকম কিছু হয়নি। পেস স্বর্গে এমন সলিড ব্যাটিং উইকেটে ব্যাটসম্যানদের বড় রান না করার আক্ষেপ থাকবে অনেকটা সময়।

আগের দিনের ১২৭ রানের সঙ্গে আরো ১৯৩ রান যোগ করে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৩২০ রানে। ১৭৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ৫৪ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লিড ২৩০ রানের।

রৌদ্রজ্জ্বল দিনের শুরু থেকেই চাপে ছিল বাংলাদেশ। তামিম দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মেরে দিনে প্রথম রান নিলেও মুমিনুলের প্রথম রানের জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৩০ বল! এর মধ্যে দুবার এলবিডব্লিউর আবেদন করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একবারও সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা রিভিউ নিলে মুমিনুল প্রথম দফায় ফিরে যেতেন সাজঘরে!

কাগিসো রাবাদার দিনের প্রথম স্পেল ছিল বিধ্বংসী। তামিমকে দুবার রিভিউ নিয়ে আউট করতে চেয়েছিলেন। প্রথম বলটি আউট সাইড অফ দ্য স্টাম্পে ছিল। আর দ্বিতীয় বলটি স্টাম্প মিস করছিল। মরনে মরকেলও কম যাননি। প্রথম চার ওভার মেডেন নেওয়ার পর পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে দেন এক রান। সব মিলিয়ে দুই পেসারের দশ ওভারে ২৪ রান পায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে রাবাদার করা শেষ ওভারেই আসে ১৭ রান!

চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৫ রান করে ভালোভাবেই পরিস্থিতি সামলে নিয়েছিলেন তামিম-মুমিনুল। পাশাপাশি দ্বিতীয় দিনের প্রথম আধা ঘন্টায় তাদের প্রতিরোধ ছিল দারুণ। কিন্তু সেই প্রতিরোধ ভাঙে বাজে এক বলে! স্বাগতিকদের সাফল্য এনে দেন অভিষিক্ত পেস অলরাউন্ডার আন্দিলে ফিকোয়াও। তামিমের উইকেট দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটের খাতা খোলেন ডানহাতি এই পেসার। লেগ স্টাম্পের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলে ফ্লিক করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তামিম। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বল গ্লাভসবন্দী করেন ডি কক। ৬৭ বলে ৪১ রান করে বিদায় নেন তামিম। তখন বাংলাদেশ পিছিয়ে ৩৩৮ রানে।

তামিম ফিরে যাওয়ার পর ব্যাটিং দ্যুতি ছড়িয়ে মুমিনুল তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১২তম ও আফ্রিকার দলটির বিপক্ষে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। মাইলফলকে পৌঁছতে ধৈর্যের পরীক্ষা দেন মুমিনুল। ১৯৭ মিনিট ক্রিজে থেকে ১১২ বলে ৯ বাউন্ডারিতে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।

অপরপ্রান্তে থাকা মাহমুদউল্লাহ ঝুঁকি নিয়ে রানের খাতা খোলার পর পেসার ডুয়ান অলিভিয়েরের দুই বল দারুণ ড্রাইভে বাউন্ডারিতে পাঠান। দুটি শটেই ছিল আত্মবিশ্বাস, নিখুঁত টাইমিং ও দারুণ প্লেসমেন্ট। আরেক পেসার ফিকোয়াওয়ের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে বাউন্ডারি মারতেও ভয় পাননি দলে ফেরা মাহমুদউল্লাহ।

দুজনের ব্যাটে ৬৪ বলেই জুটির পঞ্চাশ রান চলে আসে। ২৭৮ রানে পিছিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে বাংলাদেশ। ২৬ ওভারে ৩.৫০ গড়ে ১ উইকেট হারিয়ে সকালের সেশনে ৯১ রান করে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ছয় সেশনের দাপটের পর এই সেশনেই চোখে চোখ রেখে লড়াই করে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় সেশনেও লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহ। সে পথেই হাঁটছিলেন তারা। ৭৭ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছিলেন মুমিনুল। কিন্তু সেই রানেই শেষ তার দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং। কেশব মহারাজের বল ব্যাকফুটে পাঞ্চ করতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন। মার্করাম খুব সামনে দাঁড়িয়েও দারুণ ক্যাচ ধরেন।

মুমিনুল ফিরে যাওয়ার পর ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির দ্রুত ৬৫ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। দ্রুত রান তোলা সাব্বির ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু পুরোনো রোগ ‘শর্ট বল’ ঠিকই তাকে সাজঘরের পথ দেখায়। অলিভিয়েরের শর্ট বলে চোখ সরিয়ে নেন সাব্বির। ব্যাটে লেগে বল আঘাত করে স্টাম্পে। এ জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ।

১২ রান পর মাহমুদউল্লাহ আউট হলে বাংলাদেশের আশা ভেঙে যায়। চা-বিরতির ১৩ বল আগে ফাফ ডু প্লেসি নতুন বল নেন। নতুন বলে মরনে মরকেলের করা প্রথম বলেই আউট মাহমুদউল্লাহ। মরকেলের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে প্লেড অন হন ১২৪ বলে ৬৬ রান করা মাহমুদউল্লাহ। বিরতির আগে তাসিকন রান আউট হন মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে। ৮ উইকেটে ৩০৮ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে মুস্তাফিজের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। আর শফিউল করেন ২। ১২ রান যোগ করে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২০ রানে শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

একটি জায়গায় বাংলাদেশের উন্নতিতে প্রশংসা করতেই হবে। এর আগে দুই সফরে চার টেস্টে একটিতেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার ফলোঅন এড়ানোর মধ্য দিয়ে অতীত কলঙ্ক কিছুটা হলেও মুছেছে সফরকারীরা।

১৭৬ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৮ রানে ২ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পেসার শফিউল ইসলাম ডিন এলগারকে (১৮) এলবিডব্লিউ করার পর মুস্তাফিজুর রহমান দুর্বোধ্য কাটারে বধ করেন এইডেন মার্করামকে (১৫)। দ্রুতই দুই ওপেনারকে ফেরানোটা বাংলাদেশের জন্য বড় স্বস্তিই। তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন হাশিম আমলা ও টেম্বা বাভুমা। তবে আলোকসল্পতায় বেশিক্ষণ খেলা হয়নি। দিনের খেলার ১৬.১ ওভার বাকি থাকতেই খেলা শেষ করে দেন আম্পায়াররা।

ম্যাচের লাগাম দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে থাকলেও এ ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব। দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো বোলিংয়ের শুরুটা এখন ধরে রাখতে হবে। এরপর দায়িত্বটা ব্যাটসম্যানদের নিতে হবে। অন্তত পাঁচ সেশন ব্যাটিং করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের।

Viewing all 924 articles
Browse latest View live




Latest Images