Quantcast
Channel: খেলাধুলা – CNANews24.Com
Viewing all 924 articles
Browse latest View live

বউ নিয়ে অবকাশ যাপনে মেসি

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক: লিওনেল মেসি। দীর্ঘ দিনের বান্ধবী অ্যান্তেনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মাস দেড়েক আগে। বার্সেলোনার ব্যস্ত মৌসুম শুরুর আগে প্রাক-মৌসুম সময়ে পরিবার নিয়ে অবকাশ যাপনে গেছেন পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা।

অন্য ফুটবলাররা যখন অবকাশ ভেঙ্গে প্রাক-মৌসুম অনুশীলনে ফিরেছেন তখন উল্টো পথে মেসি। পরিবার নিয়ে অবকাশ যাপনে যাওয়ার কথা নিজেই জানিয়েছেন বার্সার প্রাণভোমরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সুইমিংপুলের পাশে স্ত্রী রোকুজ্জোর সঙ্গে ছবি দিয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে বিস্তারিত কিছু না লেখলেও হার্টের ইমোজি দিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।

নতুন মৌসুম শুরুর আগে প্রাক-মৌসুম ম্যাচে আবারও নিজেকে জানান দিয়েছেন মেসি। সোমবার রাতে প্রীতি ম্যাচে শাপেকোয়েন্সের মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির বিপক্ষে ওই ম্যাচে বার্সার ৫-০ ব্যবধানে জয়ে ম্যাচে গোল পেয়েছেন মেসি।


বিরল লজ্জার সামনে শ্রীলঙ্কা

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক :প্রথম দুই টেস্টে চার দিনেই হার। এর মধ্যে একটি হার আবার ইনিংস ব্যবধানে। শ্রীলঙ্কা এখন ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জার সামনে। পাল্লেকেলেতে শনিবার শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটা ভারতের কাছে হেরে গেলে শ্রীলঙ্কার জন্য এটা হবে বিরল এক লজ্জা।

শ্রীলঙ্কা তাদের ৩৫ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ঘরের মাটিতে মাত্র একবারই ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে অধিনায়ক হিসেবে রিকি পন্টিংয়ের প্রথম সিরিজটা অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৩-০ ব্যবধানে। অর্থাৎ ভারতের কাছে পাল্লেকেলেতে হেরে গেলে এটি হবে ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার জন্য মাত্র দ্বিতীয় ৩-০-র হোয়াইটওয়াশের লজ্জা।

প্রাক্তন ওয়ানডে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে। জুনে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়েন গ্রাহাম ফোর্ড। সবচেয়ে বড় ধাক্কা হয়ে আসে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারটা। র‍্যাঙ্কিংয়ে সবার নিচের দল দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটা জিততে ঘাম ছুটে যায় লঙ্কানদের।

এবার তারা ভারতের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার সামনে। নিউমোনিয়ার কারণে প্রথম টেস্ট খেলতে না পারা অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল মনে করছেন, অন্তত শেষ ম্যাচটা জিততে পারলে খেলোয়াড়দের মুখে হাসি ফিরবে, ‘ভারতের মতো দলের বিপক্ষে যদি আমরা অন্তত একটি ম্যাচও জিততে পারি, তাহলে আমরা দলের মানসিক অবস্থার উন্নতি করতে সক্ষম হব। আমাদের ইতিবাচক হতে হবে এবং পরের ম্যাচের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’

ভারত অবশ্য ৩-০-র চিন্তা করছে না। ভারতের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা বলেছেন, ‘আমরা ৩-০ নিয়ে ভাবছি না। আমাদের প্রক্রিয়া ম্যাচ বাই ম্যাচ। আমরা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছি। শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের পারফরম্যান্সটা পরের ম্যাচে টেনে নেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা ধারাবাহিক হওয়ার চেষ্টা করব। আর যদি এটা করতে পারি তাহলে আমরা জিতব।’

তথ্যসূত্র : ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

একই মঞ্চে ত্রিরত্নের বিদায়

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক:২০১০ সালে ইএসপিএন ক্রিকইনফো ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বকালের সেরা একাদশ তৈরি করে নিজেদের বাছাইকৃত জুরিদের দিয়ে। জুরিদের নির্বাচিত একাদশে জায়গা করে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরিচিত মুখগুলো।

গর্ডন গ্রিনিজ, ব্রায়ান লারা, স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস, ম্যালকম মার্শাল, মাইকেল হোল্ডিং, কার্টলি অ্যামব্রোস প্রতেক্যেই জাগয়া করে নেন ওই একাদশে। উইকেট রক্ষক হিসেবে এসেছিলেন জ্যাকি হেনড্রিকস। কিন্তু দর্শকরা উইকেট রক্ষক হিসেবে বেছে নেয় জেফরি ডুজনকে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটের ত্রিরত্ন বলা হয় স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস, ম্যালকম মার্শাল ও জেফরি ডুজনকে। একই সঙ্গে খেলা শুরু না করা এ তিন ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন একই সঙ্গে, একই ম্যাচে, একই মঞ্চে। ১৯৯১ সালের আজকের তিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রিরত্ন বিদায় নেন ক্রিকেট থেকে। তবে বিদায় বেলায় দলকে জেতাতে পারেননি তারা। ইংল্যান্ডের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছিল ৫ উইকেটে। বিদায় বেলায় হাসেনি তাদের ব্যাট-বল। স্যার ভিভ করেছিলেন ৬০ রান। ম্যালকম মার্শাল পেয়েছিলেন ১ উইকেট। আর উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে ডুজন ধরেছিলেন ১টি ক্যাচ। তবুও পুরো দল সম্মান জানিয়ে বিদায় জানিয়েছিলেন ত্রিরত্নকে।

তিন কিংবদন্তি ক্রিকেটারের মধ্যে অদ্ভুত একটি মিল রয়েছে। ক্রিকেট ছাড়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটের হয়ে কখনো কাজ করেননি তাঁরা। কেন করেননি সেই উত্তর আজও অজানা।

তবে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস একাধিকবার কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু উইন্ডিজ ক্রিকেট থেকে কখনো কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে দেশের ক্রিকেটে ভূমিকা রাখার সুযোগ দেয়নি। এ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আক্ষেপও করেছিলেন স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস। ভারতীয় ক্রিকেট ম্যাগাজিন ক্রিকেট ইয়ার বুকে বিষান সিং বেদীকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস বলেছিলেন,‘বয়স তো মাত্র ৬৩ হল। এখনও মনে তরুণ। দেয়ার তো অনেক কিছু আছে, থাকবে। তরুণ প্রজন্ম ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে কথা বলে আনন্দই পাবে। কিন্তু আমি তো ওদের সঙ্গে কথা বলার সময় এখনও বেশ ভয়ে ভয়ে থাকি!’

ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। বোলারদের কড়া শাসন করা এ গ্রেট ভেবে চিন্তে কথা বলেননি, ক্রিকেট খেলেননি। কিন্তু বোর্ড ও বর্তমান ক্রিকেটার থেকে বেশ দূরে স্যার ভিভ। ভিভিয়ান রিচার্ডস কেন গ্রেট হয়ে উঠেছিলেন তা বোঝা সময় নয়। সর্বোচ্চ সাফল্য পেলেও তার মাথায় ঘুরে যায়নি। পা ছিল মাটিতেই। ভিভ রিচার্ডস মানেই ঔদ্ধত্য। বেপোরোয়া মানসিকতা। কোনও কিছুতেই এই ভাবমূর্তি ছেড়ে বের হতে না-চাওয়া। কিন্তু কেন করতেন এরকম? নিজেই উত্তর দিয়েছিলেন ভিভিয়ান,‘ওটাও ভেবেচিন্তে তৈরি করা-ভাবমূর্তি।’ বোলারদের আগেই ভেঙে দিতে এমন ভাবমূর্তি।  ১২১ টেস্টে স্যার ভিভিয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৮৫৪০ রান। ২৪টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৪৫টি হাফ-সেঞ্চুরি নামের পাশে লিখা রয়েছে।

উইকেটের পিছনে চোখ ধাঁধানো কিপিংয়ে সবাইয়ে মুগ্ধ করতেন জেফরি ডুজন। সার্প কিপিংয়ে ডুজন ছিলেন অনন্য। পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দ্যুতি ছড়াতেন হরহামেশাই। ক্যারিবীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ড গড়ে ক্রিকেটকে গুডবাই বলেছিলেন ডুজন। ২৭২ ডিসমিসাল তার নামের পাশে লিখা আছে।

ওয়াসিম আকরামের আইডল ছিলেন ম্যালকম মার্শাল। এ পেসারকে নিয়ে পাকিস্তানের গ্রেট বলেছিলেন,‘ও আমার বোলিং আইডল। ব্যাটসম্যানের দূর্বল জায়গাগুলো খুব সহজে পড়তে পারতেন এবং সেখানেই বারবার আঘাত করতেন। মাঠেই বাইরেও সে অনন্য। তবে মাঠের ভিতরে দুধর্ষ।’ সত্যিই তাই। মাঠের ভিতরে ম্যালকম মার্শাল ছিল ভিন্ন। গতির ঝড় তুলে বোলারদের নাকানিচুবানো খাওয়ানো ছিল তার একমাত্র কাজ। তাইত ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের সে সময়কার সবথেকে সফল মার্শাল। ১৯৮৬ সালে মাইক গ্যাটিং তার বাউন্সারে নাকে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তার বল খেলতে ‘ভয়’ পেতেন প্রায় সব ব্যাটসম্যানই। ডানহাতি পেসার ৮১ টেস্টে ৩৭৬ উইকেট নিয়ে অবসরে যান।

তথ্যসূত্র: ক্রিকেট ইয়ার বুক ২০১৫, ইএসপিন ক্রিক ইনফো

শেষ দৌড়টা শেষই করতে পারলেন না বোল্ট

$
0
0

স্পোর্টস ডেস্ক :লন্ডনে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের প্রিয় ইভেন্ট ১০০ মিটারে ব্যর্থতার পর ১০০ মিটার রিলে দৌড়ে ফিনিশিং লাইন পর্যন্তও পৌঁছাতে পারলেন না জ্যামাইকান গতি দানব বোল্ট। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পেয়ে প্রায় ৫০ মিটার দূরে থাকতে লুটিয়ে পড়েন ট্র্যাকেই! ফলে শেষ ইভেন্টে একেবারে খালি হাতেই বিদায় নিতে হলো এই কিংবদন্তিকে।

সাধারণত এমন ১০০ মিটার রিলের হিটে অংশ নেন না উসাইন বোল্ট। শেষ অলিম্পিকেও দৌড়াননি। কিন্তু জীবনের শেষ দৌড়ের আগে তাই হিটে অংশ নিয়ে দলকে ফাইনালেও নিয়েছিলেন বিশ্ব ইতিহাসের সেরা স্প্রিন্টার। ধারণা করা হচ্ছিল আগের ব্যর্থতা ভুলে শেষটা রাঙিয়েও দিবেন সোনা জিতে। 

bolt

তবে ওমার ম্যাকলাউড, জুলিয়ান ফোর্টে, ইয়োহান ব্লেকের পর চতুর্থ ও শেষ ল্যাপে দৌড়াতে আসেন বোল্ট। ইয়োহান ব্লেকের কাছ থেকে ব্যাটন নিয়ে সামনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলতে দৌড়ের গতি বাড়াতেই বিপত্তি, পা ধরে লুটিয়ে পড়লেন ট্র্যাকেই। আর এ সুযোগে ব্রিটেনের সোনা জয় নিশ্চিত করেন মিচেল ব্লেক।

bolt

লন্ডন স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে ৩৭.৪৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে সবার আগে দৌড় শেষ করে গ্রেট ব্রিটেন ও নর্দান আয়ারল্যান্ড। ৩৭.৫২ সেকেন্ড সময় নিয়ে রূপা জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। ৩৮.০৪ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জ জিতেছেন জাপান।
এর আগে ২০১১ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটারে ডিসকোয়ালিফাইড হয়েছিলেন বোল্টে। এ ছাড়া ২০০৯ থেকে চলতি আসরের আগ পর্যন্ত ১০০ মিটার, ২০০ মিটার এবং ১০০ মিটার রিলে দৌড়ে সোনার পদক জিতেছিলেন তিনি।

রোনালদোর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করবে রিয়াল

$
0
0

স্পোর্টস ডেস্ক:বার্সার বিপক্ষে লাল কার্ড দেখার পর মেজাজ হারিয়ে রেফারিকে মৃদু ধাক্কা দিয়ে বসেন রিয়াল তারকা রোনালদো। আর এ অপরাধে শেষ পর্যন্ত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে পাঁচ ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন। তবে রোনালদোর এই নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে পারছে তার দল। তাই এর বিরুদ্ধে আপিল করবে রিয়াল মাদ্রিদ।

বার্সার মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচের ৫৮ মিনিটে স্বাগতিক দর্শকদের দুয়ো ধ্বনির মধ্য দিয়ে বেনজামার পরিবর্তে মাঠে নামেন রোনালদো। ম্যাচের ৮০ মিনিটে নিজের জাদু দেখান রোনালদো। পাল্টা এক আক্রমণে ইসকোর বাড়ানো বল ধরে পিকেকে বোকা বানিয়ে ডি-বক্সে ঢুকেই জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে স্বাগতিক দর্শকদের দুয়ো ধ্বনির জবাব দেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। 

গোলের পর জার্সি খুলে উৎযাপন করতে গিয়ে দেখেন হলুদ কার্ড। আর যেটিই পরে বিপদ দেকে আনল তার জন্য। দুই মিনিট পর ডি-বক্সে ডাইভের অভিযোগে রোনালদোকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের সঙ্গে লাল কার্ড দেখান রেফারি। তবে লাল কার্ড দেখে মেজাজ হারিয়ে হাত দিয়ে রেফারির পিঠে ধাক্কা দিয়ে বসেন চার বারের বর্ষসেরা এই ফরোয়ার্ড।

আপিলের কথা জানিয়ে রিয়াল কোচ জিদান বলেন, ‘রোনালদোর বহিষ্কারে আমি ক্ষুব্ধ। হয়তো এটা পেনাল্টি ছিল না, কিন্তু লাল কার্ড দেখানোটা একটু কঠোর হয়ে গেছে। তার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো, যাতে বুধবার (দ্বিতীয় লেগে) তার খেলা নিশ্চিত হয়।’

ফিরতি লেগে রাতে মাঠে নামবে রিয়াল-বার্সা

$
0
0

স্পোর্টস ডেস্ক :ফুটবল

স্প্যানিশ সুপার কাপ
রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা
সরাসরি রাত ৩ টা 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ : প্লে-অফ
নাপোলি-নিস
সরাসরি, রাত ১২.৪৫ মি.
সনি টেন ২
ইস্তানবুল-সেভিয়া
সরাসরি, রাত ১২.৪৫ মি.
সনি টেন ১

ক্রিকেট

ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট
ল্যাঙ্কাশায়ার-ওস্টারশায়ার
সরাসরি, রাত ১১.৩০ মি.
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি ২

টেনিস

সিনসিনাতি ওপেন
তৃতীয় দিন
সরাসরি, রাত ৯টা
সনি ইএসপিএন

চারদিনে বার্সাকে দুবার হারিয়ে শিরোপা রিয়ালের

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক :নিষেধাজ্ঞায় থাকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বার্নাব্যুর বক্সে বসে দেখলেন ম্যাচটা। গ্যারেথ বেল অলস সময় কাটালেন বেঞ্চে। অথচ দলের সবচেয়ে দামি দুই খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিটা যেন মাঠে টেরই পেল না রিয়াল মাদ্রিদ! বার্সেলোনাকে একরকম বিধ্বস্ত করে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতে নিল জিনেদিন জিদানের দল।

ন্যু ক্যাম্পে গত রোববার প্রথম লেগে ৩-১ গোলের জয়ে কাজটা অনেক দূরই এগিয়ে রেখেছিল রিয়াল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বুধবার রাতে ফিরতি লেগে দুই গোলের ঘাটতি পুষিয়ে জিততে হলে অসাধ্য সাধন করতে হতো বার্সাকে। কিন্তু উল্টো রিয়ালের কাছে ২-০ গোলে হেরে গেছে আর্নেস্তো ভালভার্দের দল। দুই লেগ মিলিয়ে রিয়ালের জয় ৫-১ ব্যবধানে। চারদিনের মধ্যে বার্সাকে দুবার হারিয়ে দশমবারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে রিয়াল।

গত মৌসুম শেষে বিদায় নেওয়া লুইস এনরিকের জায়গায় বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দুটি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচই হারলেন ভালভার্দে। এর মধ্যে আবার রিয়ালের মাঠে চোট পাওয়া লুইস সুয়ারেজের লা লিগার প্রথম ম্যাচে খেলা অনিশ্চিত। নেইমার পিএসজিতে চলে যাওয়ার পর অনেকটা ‘দিশেহারা’ হয়ে পড়া বার্সার জন্য আগামী সপ্তাহে শুরু লিগে তাই কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে!

রোনালদো আর বেলই নয়, ইসকো ও কাসেমিরোও ছিলেন না রিয়াল দলে। তাতে কী, মার্কো অ্যাসেনসিও আছেন না! ২১ বছর বয়সি স্প্যানিশ মিডফিল্ডার প্রথম লেগে করেছিলেন দারুণ এক গোল। ঘরের মাঠে ফিরতি লেগেও করলেন আরেকটি চমৎকার গোল। ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া তার আচমকা শটের গোলে চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

প্রথমার্ধেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে রিয়াল। ৩৯ মিনিটে এই গোলের উৎসেও আছেন অ্যাসেনসিও। তার পাস ধরেই বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রস করেছিলেন মার্সেলো। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের সেই ক্রস থেকে করিম বেনজেমার ফ্লিকে বল খুঁজে নেয় বার্সার জাল।

বার্সা যে সুযোগ পায়নি, তা নয়। তবে দুর্ভাগ্য। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লিওনেল মেসির শট ফিরে আসে বারে লেগে। সুয়ারেজের একটি হেডও ফেরে ওই বারে লেগেই। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার শেষ দিকে ডান হাঁটুতে চোট পেয়েছেন। এতে লা লিগায় বার্সার প্রথম ম্যাচে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে সুয়ারেজের খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বিশ্বকাপের একই গ্রুপে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড

$
0
0

স্পোর্টস ডেস্ক :নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময়সূচি ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ‘সি’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। গ্রুপে অন্য দুই প্রতিপক্ষ কানাডা ও নামিবিয়া।

‘এ’ গ্রুপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কেনিয়া। ‘বি’ গ্রুপে ভারতের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে ও পাপুয়া নিউ গিনি। আর ‘ডি’ গ্রুপে আছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। প্রতিটা গ্রুপের শীর্ষ দুই দল খেলবে সুপার লিগ রাউন্ডে। বাকি আট দল অংশ নেবে প্লেট চ্যাম্পিয়নশিপে। 

আগামী ১৩ জানুয়ারি শুরু হবে ১৬ দলের টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী দিনেই লিংকনের বার্ট সাটক্লিফ ওভালে নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের শিরোপা অভিযান। ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি দুটি সেমিফাইনালই হবে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে। আর ৩ ফেব্রুয়ারি হবে ফাইনাল।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের ম্যাচগুলো :
১৩ জানুয়ারি : বাংলাদেশ বনাম নামিবিয়া
১৫ জানুয়ারি : বাংলাদেশ বনাম কানাডা
১৮ জানুয়ারি : বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড


কুক-রুটের রেকর্ড জুটিতে প্রথম দিন ইংল্যান্ডের

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক :ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির টেস্টের প্রথম দিনটা নিজেদের করে রাখল ইংল্যান্ড। এজবাস্টনে অ্যালিস্টার কুক ও জো রুটের রেকর্ড জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে রয়েছে স্বাগতিকরা।

২০১৫ সালের নভেম্বরে ইতিহাসের প্রথম দিবা-রাত্রি টেস্টের সাক্ষী অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। তবে এবারই প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টে খেলতে মাঠে নামল ইংল্যান্ড। উইন্ডিজদের বিপক্ষে দলটির প্রাক্তন অধিনায়ক কুক ও বর্তমান অধিনায়ক রুটের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে তদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৪৮।

ব্যক্তিগত ১৩৬ রান করে কেমার রোচের বলে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন জো রুট। তবে আউট হওয়ার আগে ওপেনার অ্যালিস্টার কুকের সঙ্গে রেকর্ড জুটি গড়েন তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এজবাস্টনে সর্বোচ্চ ২৪৮ রানের জুটি গড়েন তারা। আর দিবা-রাত্রির টেস্টে যে কোনো উইকেটে এটা সর্বোচ্চ রানের জুটি। রুট গতকাল ফিরলেও ১৫৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন কুক। তার সঙ্গে ২৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন ডেভিড মালান।

তবে ১৫৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ালেও শুরুতে নতুন সঙ্গী মার্ক স্টোনম্যানের সঙ্গে প্রথম ইনিংসে জমেনি কুকের উদ্বোধনী জুটি। ১৪৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ৩০ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছেন ৮ রান করে। দুটি চার হাঁকিয়েই বোল্ড হয়েছেন কেমার রোচের বলে। তার সঙ্গে ব্যক্তিগত একই রানে সাজঘরে ফেরেছেন টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটসম্যান টম ওয়েস্টলি। মিগুয়েল কামিন্সের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়েছেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩৪৮/৩ (কুক ১৫৩* স্টোনম্যান ৮, ওয়েস্টলি ৮, রুট ১৩৬, মালান ২৮*; রোচ ২/৭২, জোসেফ ০/৮৫, কামিন্স ১/৬১, হোল্ডার ০/৫৮, চেইস ০/৫৮, ব্র্যাথওয়েইট ০/৬)

বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার চ্যালেঞ্জ দেখছেন হাসি

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার আগেই অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ জানিয়েছেন, সিরিজটা চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট মাইক হাসিও বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার জন্য সিরিজটা খুব চ্যালেঞ্জিং হবে।

বাংলাদেশ তাদের সর্বশেষ টেস্টে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। যেটি ছিল আবার বাংলাদেশের শততম টেস্ট। মুশফিকুর রহিমের দল ঘরের মাঠে সর্বশেষ টেস্টে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলাসহ সীমিত ওভারের ফরম্যাটেও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭৯টি টেস্ট খেলা হাসি মনে করেন, বাংলাদেশে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে, ‘এটা দারুণ একটা সিরিজ হবে, অস্ট্রেলিয়ার জন্য সত্যিই চ্যালেঞ্জিং একটা সিরিজ। বাংলাদেশ তাদের কন্ডিশনে দারুণ খেলে এবং তারা অনেক উন্নতি করেছে।’

বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসটা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট, ‘তারা এখন অনেক বেশি বিশ্বাস পেয়েছে। তারা বিশ্বজুড়ে সেরা কিছু দলকে চ্যালেঞ্জ করেছে। যদি আপনি বিশ্বাস করেন, আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন এবং জিততে পারেন; তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অর্ধেক লড়াই হয়ে যায়। আমি মনে করি না, অনেক বছর তাদের এই বিশ্বাস ছিল।’

‘তারা এখন তাদের দলে এমন খেলোয়াড় পেয়েছে যারা দীর্ঘদিন ধরে খেলছে, সুতরাং তারা নিজেদের খেলাটা সম্পর্কে অনেক ভালো বোঝে’- বলেন হাসি।

তথ্যসূত্র : ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

‘সাকিব-তামিম ডেঞ্জারাস’

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক :টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। তিন ফরম্যাটেই প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ানক ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। দীর্ঘদিন ধরে তারা বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলছেন। টেস্টে তারা দুজন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় শীর্ষে আছেন। যেকোনো দলই তাদের সমীহ করে। ব্যতিক্রম নয় অস্ট্রেলিয়াও। আজ শনিবার বাংলাদেশ দলের এই দুই ক্রিকেটারের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ।

তিনি বলেন, ‘তারা দুজন অনেক ক্রিকেট খেলেছে। তারা তাদের খেলাটা খুব ভালো বোঝে। নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কেও সচেতন। সাকিব-তামিম, ডেঞ্জারাস (ভয়ানক)। আমাদের সাফল্য পেতে হলে তাদের চেয়ে ভালো করতে হবে।’

২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ ১০০ টেস্ট খেলেছে। গেল ১৭ বছরে ১০০ টেস্টের মধ্যে মাত্র ৪টি খেলেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এতো অল্প টেস্ট খেলার বিষয়টি নিয়ে স্মিথ নিজেও বিস্মিত, ‘আমি আসলে বিস্মিত। গেল ১৭ বছরে আমরা মাত্র ৪টি টেস্ট খেলেছি! অবশ্য টেস্টের সূচি আমরা খেলোয়াড়রা নির্ধারণ করি না। আমরা কেবল সেখানে যাই যেখানে আমাদের খেলতে যেতে বলা হয়। আমি মনে করি এটার যথাযথ উত্তর ক্রিকেট প্রশাসকরা দিতে পারবেন।’

অস্ট্রেলিয়ার এই দলে যারা আছে তাদের অনেকের বিপক্ষেই বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। এই প্রথম টেস্ট খেলতে যাচ্ছে। টেস্টে প্রত্যেকে প্রত্যেকের অজানা, অচেনা। বিষয়টিকে রোমাঞ্চকর বলে উল্লেখ করেছেন স্মিথ, ‘আমি মনে করি বিষয়টি বেশ রোমাঞ্চকর। ১১ বছর পর আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে যাচ্ছি। খুবই লম্বা সময়। তবে আমরা একে-অপরের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলেছি।’

উপমহাদেশে স্পিনারদের রাজত্বের বিষয়ে স্মিথ বলেন, ‘পুরো সিরিজেই স্পিনারদের রাজত্ব থাকবে। রিভার্স সুইং প্রত্যাশা করা যায়। কারণ, উইকেট ভেঙে চৌচির হয়ে যাবে।’

অলরাউন্ডার বিবেচনায় দলে নাসির

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন নাসির হোসেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট দলে জায়গা পেয়েছেন নাসির। শনিবার দল ঘোষণা করে বিসিবি।

ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৪ ইনিংসে ৩২৮ রান করেন নাসির হোসেন। সিলেটে হাঁকিয়েছিলেন একটি ডাবল সেঞ্চুরিও। বল হাতে ২৭ ওভার বোলিং করে নেন মাত্র ৩ উইকেট। জাতীয় লিগের ফর্ম বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে ধরে রাখতে পারেননি নাসির। বিসিবি নর্থকে চ্যাম্পিয়ন করালেও ৮ ইনিংসে ২৪৭ রান করে, যেখানে তার গড় রান ছিল ৩০.৮৭। এছাড়া বোলিংয়ে ৮৯ ওভার করে নেন ৫ উইকেট।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু নিশ্চিত করেছেন, অলরাউন্ডার বিবেচনায় নাসির হোসেনকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নেয়া হয়েছে। মিনহাজুল আবেদীন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার অনেকগুলো বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আছে। মিরাজের সঙ্গে অ্যাডিশনাল অফ স্পিন করতে পারে, ব্যাটিং করতে পারে এমন একজনকে আমরা চাচ্ছিলাম। সেই হিসেবে নাসির রয়েছে।’

দেশের মাটিতে সবশেষ টেস্টে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। দলে পেসার ছিল একজন, স্পিনার ছিল চারজন। অস্ট্রেলিয়াকে বধ করতে স্পিন সহায়ক উইকেট প্রস্তুত হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেক্ষেত্রে চার স্পিনার একাদশে থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সেক্ষেত্রে তাইজুল, মিরাজ এবং সাকিবের সঙ্গে হাত ঘুরাতে পারেন নাসির। এক্ষেত্রে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বিবেচনায় আছেন। ব্যাটিং বিবেচনায় মোসাদ্দেক এগিয়ে থাকলেও বোলিং বিবেচনায় নাসির এগিয়ে। তবে দুজন একসঙ্গেও একাদশে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে এক পেসার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ। দুই পেসার নিয়ে খেললে নাসির-মোসাদ্দেকের মধ্যে যেকোনো একজন খেলবেন।

এদিকে ব্যাক-আপ উইকেট কিপার হিসেবে নেয়া হয়েছে লিটন কুমার দাসকে তবে তাকে ম্যাচ খেলানোর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। শেষ টেস্টে মুশফিকুর রহিম ৪ ক্যাচ, ১টি স্ট্যাম্পিং ও ব্যাটিংয়ে ভালো করায় আবারও উইকেটের পিছনে থাকবেন।

রুনির মাইলফলকের ম্যাচে সিটিকে বাঁচালেন স্টার্লিং

$
0
0

ক্রীড়া ডেস্ক :তিনি ফুরিয়ে গেছেন। তিনি গোল করতে পারেন না। দলে অবদান রাখতে পারেন না। টাকার জন্য চীনে কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চান। প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে দেওয়ার মতো তার কাছে আর কিছুই নেই। কত সমালোচনা! টানা দুই ম্যাচে দুই গোল করে সব সমালোচনার জবাব দিলেন ওয়েইন রুনি। তার নৈপুণ্যেই লিগ শিরোপার অন্যতম দাবিদার ম্যানচেস্টার সিটির কাছ থেকে পয়েন্ট কেড়ে নিয়েছে এভারটন। রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে কোনোমতে পরাজয় এড়িয়েছে পেপ গার্দিওলার দল।

অথচ সোমবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সহজেই তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু ম্যাচের অর্ধেকটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলা গার্দিওলার দলকে একটা সময় উল্টো পরজয়ই চোখ রাঙাচ্ছিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার ৮ মিনিট বাকি থাকতে গোল করে সিটিকে বাঁচিয়েছেন স্টার্লিং। ম্যাচ ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। ২০০৬ সালের পর প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট হারাল সিটি।

রাতরা ছিল আসলে রুনির। ইংলিশ তারকা এ মৌসুমেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে শৈশবের ক্লাব এভারটনে ফিরেছেন। প্রথম ম্যাচেই স্টোক সিটির বিপক্ষে গোল করে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন। কাল টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও গোল করলেন। ৩৪ মিনিটে রুনির গোলেই এগিয়ে যায় এভারটন। ডি-বক্সের ভেতর তাকে বল বাড়িয়েছিলেন ম্যাসন। সেই বলে রুনির সোজাসুজি শট সিটির গোলরক্ষকের গায়ে লেগে জাল খুঁজে নেয়।

এই গোলেই দারুণ এক মাইলফলক ছুঁয়েছেন রুনি। মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে ২০০ গোল করলেন ৩১ বছর বয়সি তারকা। ২৬০ গোল করে তার ওপরে প্রাক্তন ইংলিশ তারকা অ্যালান শিয়েরার। রুনির পেছনে আছেন ম্যানচেস্টার সিটির প্রাক্তন দুই খেলোয়াড় অ্যান্ডি কোল (১৮৭ গোল) ও ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড (১৭৭ গোল)।

রুনির গোলের এক মিনিট আগে এগিয়ে যেতে পারত সিটিই। কিন্তু আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরোর শট পোস্টে লেগে ফিরলে হতাশ হতে হয় স্বাগতিক দর্শকদের। উল্টো বিরতিতে যাওয়ার আগে বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এ মৌসুমেই সিটিতে আসা ইংলিশ ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার।

দ্বিতীয়ার্ধে একটা সময় সিটির যখন পরাজয় অনিবার্য মনে হচ্ছিল, তখনই ত্রাণকর্তা হয়ে দেখা দেন স্টার্লিং। ৮২ মিনিটে ডান দিক থেকে ডানিলোর ক্রস হেড করে ফিরিয়েছিলেন ম্যাসন। কিন্তু বিপদমুক্ত হয়নি। বল এসে পড়ে স্টার্লিয়ের পায়ে। জোরালো ভলিতে বল জালে পাঠিয়ে সিটিকে সমতায় ফেরান ২২ বছর বয়সি ইংলিশ মিডফিল্ডার।

৮৮ মিনিটে মরগান শ্নাইডারলিন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে এভারটনও ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছিল। তাতে অবশ্য সিটির ভাগ্য ফেরেনি।

র‌্যাংকিংয়ে আটে ওঠার সুযোগ বাংলাদেশের

$
0
0

স্পোর্টস ডেস্ক :ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই দেশের মাটিতে সমীহ জাগানো দল বাংলাদেশ। সবশেষ ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টেস্টেও নিজেদের শক্তি জানান দিয়েছে। এবার ঘরের মাটিতে টাইগারদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। আর এ সিরিজে মুশফিক বাহিনীর সামনে সুযোগ রয়েছে র‌্যাংকিংয়ের আটের ওঠার।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ যদি ২-০ তে সিরিজ জেতে তবে অস্ট্রেলিয়া ৯২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে নেমে যাবে। অপরদিকে বাংলাদেশ ৮১ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টমে উঠে আসবে। বাংলাদেশ যদি ১-০ তে সিরিজ জেতে তাহলে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট হবে ৯৪ এবং তারা নেমে আসব পঞ্চমে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে উঠে আসবে অষ্টমে। দুই ম্যাচের সিরিজটি ড্র হলে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট দাঁড়াবে ৯৭ এবং অবস্থান হবে পঞ্চম। আর ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে এ ক্ষেত্রেও অষ্টমে উঠে আসার সুযোগ থাকছে টাইগারদের। 

সিরিজটি অস্ট্রেলিয়া ১-০ তে জিততে পারলে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ অবস্থানেই থাকতে পারবে অজিরা। আর ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় টেস্টে হারালে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম অবস্থানে উঠে আসবে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, প্রথম টেস্ট শুরু হবে আগামী ২৭ আগস্ট মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। আর শেষ টেস্ট শুরু হবে ৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে।
বর্তমান র‌্যাংকিং ও রেটিং-

১। ভারত -১২৫
২। দক্ষিণ আফ্রিকা-১১০
৩। ইংল্যান্ড-১০৫
৪। অস্ট্রেলিয়া- ১০০
৫। নিউজিল্যান্ড- ৯৭
৬। পাকিস্তান- ৯৩
৭। শ্রীলঙ্কা-৯০
৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ৭৫
৯। বাংলাদেশ-৬৯

বন্যার কারণে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক:ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে দেশের প্রায় অর্ধেক অঞ্চল। উত্তরাঞ্চল বলতে গেলে পুরোটাই পানির নিচে। বন্যার্ত মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ সারা দেশের মানুষকেই ছুঁয়ে যাচ্ছে। সামর্থ্যবান মানুষ যে যেভাবে পারছে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।

মাত্র দুই মাস পরই মাঠে গড়ানোর কথা ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর বিপিএল। ২ নভেম্বর টুর্নামেন্টের পঞ্চম আসর মাঠে গড়ানোর আগে ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জমজমাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। 

তবে উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে এবং বন্যার্তদের সাহায্যার্থে তাদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে এবারের বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পুরোপুরি বাতিলই করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

মঙ্গলবার বিকেলে কল্যাণপুরস্থ একমি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের জরুরি এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য এবং বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়া  এ তথ্য জানান।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর। এ কারণে আগামী শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সিরাজগঞ্জ গিয়ে বিসিবির পক্ষ থেকে ব্যাপক আকারে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

প্রসঙ্গত গত বছর অনুষ্ঠিত বিপিএলের চতুর্থ আসরেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। এবার বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের লক্ষ্য ছিল জমজমাট আয়োজনের মধ্যদিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করার। এমনকি ভারত থেকে সিনেমার নায়ক, নায়িকা এবং নামকরা গায়ক এনে জমিয়ে তোলার লক্ষ্য ছিল বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

কিন্তু ভয়াবহ বন্যার কারণে এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অর্থ দিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে সেই অনুষ্ঠানটা বাতিল করে দিল বিসিবি।


অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে আমাদের স্পিন অ্যাটাক ভালো : সাকিব

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক :ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ সিরিজে স্পিন নির্ভর উইকেট তৈরি করে ভালো ফল পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজেও তেমন উইকেট তৈরি করার সম্ভাবনা বেশি। স্বাভাবিকভাবেই তাই ম্যাচ শুরুর আগে উঠে আসছে দুই দলের স্পিনারদের সামর্থ্যরে বিষয়টি। তবে দু’দলের মধ্যে বাংলাদেশের স্পিনারদেরকেই এগিয়ে রাখছেন সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন সাকিব।

সিরিজের আগে থেকেই আলোচনায় অজি অফস্পিনার নাথান লায়ন। বাংলাদেশের জন্য তাকেই বড় হুমকি মনে করা হচ্ছে। ইমরুল কায়েসের পর সংবাদ সম্মেলনে সুর মিলিয়ে লায়নকেই বড় হুমকি বললেন সতীর্থ তামিম ইকবালও। তবে সাকিব ওদের চেয়ে বাংলাদেশের স্পিনারদেরকেই এগিয়ে রাখছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘সব কন্ডিশনে বলবো না, তবে দেশের মাটিতে তাই আমাদের স্পিন অ্যাটাক ওদের থেকে ভালো। তাইজুল এবং মিরাজ দু’জনই বেশ অনেক দিন ধরেই ভালো বল করছে। আমার বিশ্বাস ম্যাচ জেতানোর জন্য এই দু’জন বড় ভূমিকা পালন করবে।’

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে জয়ের পর ওই রকম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও একই উইকেট তৈরি করার সম্ভাবনা বেশি। তবে উইকেটের উপর কারো হাত নেই উল্লেখ করে সাকিব আরও বলেন, ‘ইংল্যান্ডের মত উইকেট হলে ভালো হয়। তবে উইকেটের উপর তো আর কারো হাত নেই। কিউরেটর তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে আগের মতই উইকেট তৈরি করতে। তবে শুধু উইকেটের কথা ভেবে বসে থাকলেই হবে না, সাফল্য পেতে যা যা করনীয় আমাদের মাঠে তাই করতে হবে।’

চট্টগ্রাম আবাহনীকে রুখে দিল আরামবাগ

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক :বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শুক্রবারের আগে ৫ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। ৫ ম্যাচের ৫টিতেই জিতেছিল তারা। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে মাঠে নামে তারা। প্রতিপক্ষ ছিল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। দারুণ ফর্মে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনীকে আজ রুখে দিয়েছে আরামবাগ। গোলশূন্য ড্র করে তাদের পয়েন্টে ভাগ বসিয়েছে আরামবাগের ক্লাবটি।

এর মধ্য দিয়ে চলতি লিগে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট হারাল সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। ৬ ম্যাচ থেকে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই অবস্থান করছে। সমান ম্যাচ থেকে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। এই পয়েন্ট নিয়ে ১১তম স্থান থেকে তারা উঠে এসেছে নবম স্থানে।

পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সঙ্গে চট্টগ্রাম আবাহনীর পয়েন্ট ব্যবধান ছিল ২। আজ ড্র করায় পয়েন্ট ব্যবধান হয়েছে ৩। পরবর্তী ম্যাচে শেখ জামাল বড় ব্যবধানে জয় পেলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যাবে। ৫ ম্যাচ থেকে শেখ জামালের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। চট্ট্রলার দলটির সঙ্গে ব্যবধান কমানোর সুযোগ রয়েছে নবাগত দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবেরও। ৫ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট।

রান তাড়া করা কঠিন হবে : অ্যাস্টন অ্যাগার

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক :প্রথম দিন থেকেই স্পিন ধরছে মিরপুরের উইকেটে। আন-ইভেন বাউন্স, স্কিড, বাড়তি টার্ন নিচ্ছে বল। ব্যাটসম্যানদের জন্য দ্বিতীয় দিনেই ব্যাট করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন উইকেটে রান তাড়া করাটা কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার অ্যাস্টন অ্যাগার। তবে তিনি আশাবাদীও। আগামীকাল যদি ভালো বল করতে পারেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা যদি ভালো ব্যাট করতে পারে তাহলে ফল তাদের পক্ষেও আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে অ্যাস্টন অ্যাগার বলেন, ‘উইকেট ব্যাট করার জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে রান তাড়া করাটা কঠিন হবে। তবে কালকে যদি আমরা ভালো বোলিং করতে পারি, বাংলাদেশকে অল্প রানে আটকে রাখতে পারি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে যদি ব্যাটসম্যানরা ভালো করেন তাহলে রান তাড়া করে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।’

বাংলাদেশের বোলারদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বোলাররা খুব ভালো বল করছে। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। মেহেদী হাসানও ভালো বল করছে। তার বল মাঝে মাঝে দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। এই উইকেটে অ্যাকুরেসি নিয়ে কেউ বল করলে তাকে খেলা কঠিন। তবে দেখে-শুনে খেললে রান পাওয়া যায়।’

হঠাৎ এলোমেলো বাংলাদেশ

$
0
0

ক্রীড়া প্রতিবেদক : অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।

স্কোর: বাংলাদেশ ২০৫/৮।

দ্বিতীয় সেশনে ৫ উইকেট নেই: তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৭২ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ৩ উইকেট পড়েছে ৯ বলের মধ্যে! চা বিরতি পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২০৫। লিড হয়েছে ২৪৮। ১৭ রানে অপরাজিত থাকা মিরাজের ওপরই নির্ভর করছে, বাংলাদেশ লিডটা কতদূর নিতে পারবে। মিরাজের সঙ্গে ২ রানে অপরাজিত আছেন শফিউল ইসলাম।

হঠাৎ এলোমেলো বাংলাদেশ: পরপর দুই ওভারে মুশফিক-নাসিরের বিদায়ের পর সাব্বির রহমানের ওপর ছিল বড় দায়িত্ব। কিন্তু পরের ওভারে ফিরে গেলেন তিনিও। লায়নের বলে শর্ট লেগে পিটার হ্যান্ডসকম্বের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সাব্বির (২২)। ৯ বলের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। ১৮৬ রানে দাঁড়িয়েই বাংলাদেশ হারিয়েছে ৩ উইকেট! তখন লিড ২৩০-ও পেরোয়নি। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শফিউল ইসলাম।

এসেই ফিরলেন নাসির: আগের ওভারেই মুশফিক ফেরার পর উইকেটে এসেছিলেন নাসির। কিন্তু দুই বছর পর দলে ফেরা নাসির ফিরলেন মুখোমুখি চতুর্থ বলেই। অ্যাশটন অ্যাগারের বলে উইকেটকিপার ম্যাথু ওয়েডকে ক্যাচ দেওয়ার নাসির মেরেছেন ডাক।

রানআউট মুশফিক: নাথান লায়নের বলে সোজা খেলেছিলেন সাব্বির রহমান। বল লায়নের হাত ছুঁয়ে লাগল স্টাম্পে। নন স্ট্রাইকার মুশফিকুর রহিমের ব্যাট তখন ক্রিজের বাইরে, রানআউট। মুশফিক করেছেন ৪১। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৬ উইকেটে ১৮৬।

২০০ ছাড়াল লিড: নাথান লায়নের বল রিভার্স সুইপ করে চার হাঁকালেন সাব্বির রহমান। তাতে ২০০ ছাড়াল বাংলাদেশের লিড। তখন দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৬০। লিড ২০৩ রানের। সাব্বির ১১ ও মুশফিক ৩১ রানে অপরাজিত।

দ্রুতই ফিরলেন সাকিব: এক বল আগেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে মিড অফের ওপর দিয়ে নাথান লায়নকে চার মেরেছিলেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এক বল পর আবার একই শট খেলতে গেলেন। কিন্তু এবার বল উঠে গেল আকাশে, হাতে জমাতে ভুল হলো না প্যাট কামিন্সের। ৪ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে বাংলাদেশ। সাকিব (৫) ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৩। ২৭ রান নিয়ে ব্যাটিং করা মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী হিসেবে উইকেটে এসেছেন সাব্বির রহমান।

লাঞ্চের পরই ফিরলেন তামিম: দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরিটা হলো না তামিমের। তৃতীয় দিনের লাঞ্চের পর ব্যক্তিগত খাতায় আর ২ রান যোগ করতেই ফিরে গেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। প্যাট কামিন্সের বল তামিমের গ্লাভস ছুঁয়ে উইকেটকিপার ম্যাথু ওয়েডের হাতে জমা পড়ে। আম্পায়ার প্রথমে নট আউট দিলেও রিভিউয়ে বদলায় সিদ্ধান্ত। প্রথম ইনিংসে ৭১ রান করা তামিম দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৭৮। ৮টি চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। তামিমের বিদায়ের সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩৫। ২৫ রান নিয়ে ব্যাট করা মুশফিকের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

প্রথম সেশনে ৮৮ রান: তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে তাইজুল ও ইমরুলের উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩৩ রান। তামিম ৭৬ ও মুশফিক ২৫ রানে অপরাজিত আছেন। লিড হয়েছে ১৭৬।

তামিম-মুশফিক জুটির ফিফটি: তামিম ও মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশের লিড বাড়ছে। চতুর্থ উইকেটে দুজন ফিফটি রানের জুটি গড়েছেন।

দেড়শ ছাড়াল লিড: তামিম ইকবালের ব্যাটিং দৃঢ়তায় দেড়শ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের লিড। দিনের শুরুতে তাইজুল আর ইমরুল কায়েস ফিরলেও তামিমকে এই মুহূর্তে যোগ্য সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করছেন অধিনায়ক মুশফিক।

দলীয় ১০০ ছাড়িয়ে বাংলাদেশ: তামিম ইকবালের ফিফটিতে ভর করে দলীয় সংগ্রহ ১০০ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ। দিনের শুরুতেই নাইটওয়াচম্যান তাইজুলকে বিদায় করেন নাথান লায়ন। এরপর ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। সেই লায়নের বলে ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ২ রানে ফেরেন তিনি। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে নিজের চওড়া কাঁধে দলকে টানছেন তামিম।

তামিমের ফিফটি: প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটি তুলে নিয়েছেন তামিম। গতকাল ৩০ রানে অপরাজিত থাকার পর আজ সকালে মাঠে নেমে ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। নিজের পঞ্চাশতম টেস্টে দুই ইনিংসেই ফিফটির দেখা পেলেন তামিম। টেস্ট ক্যারিয়ারে দেশসেরা এ ওপেনারের এটি ২৪তম ফিফটি। ১০৯ বল মোকাবেলা করে ৬টি চারে ফিফটি তুলে নেন তামিম। অ্যাশটন অ্যাগারের ৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরে ফিফটি পূরণ করেন এ তারকা ব্যাটসম্যান।

লায়নের দ্বিতীয় শিকার ইমরুল: প্রথম ইনিংসে ডাক মেরেছিলেন ইমরুল কায়েস। দ্বিতীয় ইনিংসেও হাসেনি তার ব্যাট। দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ২ রানে। নাথান লায়নের করা ইনিংসের ৩৪ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সেকেন্ড স্লিপে ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে তাইজুল: লায়নের আগের ওভারের প্রথম বলেই চার মেরে বাংলাদেশের লিড ১০০তে নিয়ে গিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু ২৮তম ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। লায়নের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হয়ে ফিরে যান তাইজুল।

১০০ ছাড়াল লিড: নাথান লায়নের ২৬ তম ওভারের প্রথম বলে তাইজুল বাউন্ডারি হাকাঁনোয় ১০০ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের লিড। এই সময়ে তামিম ৪২ ও তাইজুল ৪ রানে ব্যাট করছেন। দিনের শুরুতে তাদের শুভ সূচনাই বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারে।

৮৮ রানের লিডে শুরু: মিরপুরে গতকাল নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৪৫ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। আজ ৮৮ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছে স্বাগতিকরা। দিন শেষ হওয়ার মাত্র দুই ওভার আগে গতকাল ওপেনার সৌম্য সরকার আউট না হলে আজ পুরো ১০ উইকেট নিয়েই খেলতে পারত টাইগাররা। তবে ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে তামিম অপরাজিত রয়েছেন ৩০ রানে। তার সঙ্গে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে গতকাল ৯ বল মোকাবেলা করলেও কোনো রান না করে অপরাজিত ছিলেন তাইজুল ইসলাম।

ঘরের মাঠের সুবিধা পাচ্ছে না বাংলাদেশ!

$
0
0

ক্রীড়াপ্রতিবেদক : সাধারণত স্বাগতিক দল ঘরের মাঠের সুবিধা পায়। নিজেদের মতো উইকেট বানাতে পারে। প্রচুর দর্শক থাকে। নিজেদের পরিচিত মাঠ, কন্ডিশন। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে পারে। জয় ছিনিয়ে নিতে পারে। ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু আজ তৃতীয় দিন শেষে তামিম ইকবাল জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। ঘরের মাঠের সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে তিনি ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তবে সেটা যুক্তি দিয়ে। তামিমের কী সেই যুক্তি?

তামিম বলেন, ‘আমাদের হোম অ্যাডভান্টেজ পাওয়া উচিত। কিন্তু এই ধরনের উইকেটে আমরা কতোটা খেলি? ডোমেস্টিকে? আমরা খেলি না। আমরা এ ধরনের উইকেটে খেলি আন্তর্জাতিক ম্যাচ এলে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ এলে আমাদের কন্ডিশনটাকে আমাদের জন্য অ্যাডভান্টেজ বলা হয়, আর বিদেশি দলের জন্য যা ডিসঅ্যাডভান্টেজ হয়ে দাঁড়ায়। আমরা হোম কন্ডিশনে, ডোমেস্টিকে আমরা ঘাসের উইকেট নিয়ে ব্যস্ত। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেখানে খেলি না। এই চিন্তাগুলো বদলাতে হবে। ঘাসের উইকেটে আমরা দেশের বাইরে খেলি। বছরে একটা ট্যুর করি। আমার কাছে মনে হয়, আমরা যদি এ ধরনের উইকেটে খেলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে, তাহলে ডোমেসটিকেও এ ধরনের উইকেট করা উচিত। সব মাঠে না হলেও একটা দুইটা মাঠে; এটা হলে নতুনরা অভ্যস্ত হয়ে আসবে। স্পিনিং ট্র্যাক হলেই জাস্ট একটা স্পিনার এসে বল করে উইকেট পেয়ে যাবে না, এটারও একটা আর্ট আছে। যারা আছে, তাদেরও শিখতে সহজ হবে। ঘাসের উইকেটের চিন্তা বাদ দিয়ে এ সব নিয়ে যদি ভালোভাবে চিন্তা করে, তাহলে বেশি কাজে দেবে।’

Viewing all 924 articles
Browse latest View live




Latest Images